বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার দিন শেষ, এবার পশ্চিমবঙ্গে ‘স্মার্ট মিটার” বসাচ্ছে সরকার

দেশের সমস্ত ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন হলেও বিদ্যুতের (Electricity) ক্ষেত্রে সেইকাজ অনেকটাই পিছনে রয়ে গিয়েছে। এখনো বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুতের বিল জানাতে হয়। কিন্ত এবার সেক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে চলেছে। সরকারের (Government) তরফে এবার স্মার্ট মিটার (Smart meter) বসানো হবে।
রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, রাজ্যে এবার স্মার্ট মিটার বসানো হবে। প্রথম ধাপে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসবে সরকার। এর মাধ্যমে অফিসে বসেই জানা যাবে কত বিদ্যুৎ বিল এসেছে। বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আজই বিধানসভায় এই সম্পর্কে জানান অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হবে। এর ফলে বিদ্যুৎ দফতরের কাজে সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি সময় ও লাঘব হবে। সাথে সহজেই যেন বিদ্যুত বিল জমা দেওয়া যায় সেই ব্যাপারেও খতিয়ে দেখছে সরকার।
যদিও শুধু স্মার্ট মিটারের কথা বলেই থেমে থাকেননি তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তোপ দেগেছেন বিধানসভা থেকে। বর্তমানে রাজ্যের শাসকদল সর্বত্রই দেখতে পায় যে, প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই কেন্দ্র রাজ্যকে বঞ্চনা করছে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। তার অভিযোগ বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাতে বিদ্যুৎ পৌঁছালেও বঞ্চিত হয় আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তার এই কথার জবাব দেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা।
দিন্দা বলেন, ময়নায় দিনে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সেইকথার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করার পরিবর্তে অরূপ বিশ্বাস দিন্দাকে কটাক্ষ করে বলেন ‘‘আপনি তো কলকাতায় থাকেন। ময়নায় বিদ্যুৎ না গেলে আপনি জানবেন কী ভাবে?’’ দিন্দাও সাথে সাথে জবাব দেন, ‘‘আপনি কি আমার পিছনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন? আমি কোথায় থাকি আপনি জানবেন কী ভাবে?’’
তাছাড়া অরূপ বিশ্বাস এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের দায়িত্ব ঠেলে দেন কেন্দ্রের দিকে। তিনি এদিন বিধানসভায় বলেন প্রকল্পের জন্য ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে ব্যয় করা হবে আরও ৪০ শতাংশ অর্থ। এইভাবে মোট ১১কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কার্য সম্পাদিত করা হবে।