ভারত নয়, তবে এদেশের সরকারি ভাষা হিন্দি! পরিচিত লিটল ইন্ডিয়া নামে

হিন্দি যে ভারতের সরকারি ভাষা সেটা হয়তো সকলেই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভারতের বাইরেও হিন্দি ভাষাকে একটি দেশের মাতৃভাষা হিসেবে তকমা দেওয়া হয়েছে। শুনে চমকে গেলেন তো, কিন্তু এটাই সত্যি।

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সেটা কোন দেশ তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মেলানেশিয়ায় অবস্থিত ফিজি এমন একটি দেশ যেখানে হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

   

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ফিজিতে হিন্দি কিভাবে এলো? এটি সেই সময়ের কথা যখন ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এবং ফিজিও ব্রিটিশদের দখলে ছিল। ভারতে বরাবরই আখ চাষ খুব ভাল এবং এখানকার লোকেরাও এতে পারদর্শী ছিল। এজন্য ব্রিটিশরা ভারত থেকে শ্রমিক নিয়ে যেত ফিজির আখ ক্ষেতে কাজ করার জন্য। যা শুরু হয় ১৮৭৯ সালে। এরপর ১৮৭৯ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে ফিজিতে নিয়ে যায়। যার সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি বলে জানা গিয়েছে।

প্রথমে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের এই সুন্দর দেশে নিয়ে গেলেও পরে ভারতীয়রা নিজেরাই সেখানে যেতে শুরু করে। ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় স্বেচ্ছায় ফিজিতে যান এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেন। আজকের বিশ্বে ভারতের জনসাধারণ ফিজির অর্থব্যবস্থার মেরুদণ্ডের মতো। ভারত ১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৭০ সালে ফিজি স্বাধীন হয়। এরপর দেশটিতে অনেক অভ্যুত্থান হয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন, এই ফিজিতে এতটাই জনসংখ্যা বেশি যে ফিজিকে ‘ছোট্ট ভারত’ বা ‘লিটিল ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এছাড়া বর্তমানে এই দেশের জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশের মাতৃভাষা হিন্দি।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর