বিদ্যুতে চলে লোহার ট্রেন, তবুও লাগেনা কারেন্ট! জানুন আসল কারণ

দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ট্রেন (Train) ছাড়া বিকল। প্রত্যেকদিন কয়েক লক্ষ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছে এই ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ওপর ভরসা করে। সাধেই কিন্তু এর ভারতীয় রেল ব্যবস্থাকে দেশের মেরুদণ্ড বলা হয় না। অনেকেই আছেন যারা বাস বা বিমান ছেড়ে এই ট্রেনেই উঠতে ভালোবাসেন।

আপনিও কি ট্রেনে উঠতে ভালোবাসেন? আচ্ছা আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে যে বিদ্যুতের (Electricity) মাধ্যমে লোহার ট্রেন চলাচল করে। অথচ বিদ্যুস্পৃষ্ট হয় না কেউ কেন? আসলে একটা সময় ছিল যখন পৃথিবীতে ট্রেন চলত কয়লায়। এরপর বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন তৈরি করা হয়, এরপরই রেললাইনে ট্রেন বিদ্যুতে চলতে শুরু করে। আপনারা নিশ্চয়ই অনেকবার দেখেছেন যে ট্রেন সরাসরি বৈদ্যুতিক তার থেকে কারেন্ট পায়। যার কারণে রেল ট্র্যাকে ট্রেন ছোটে।

   

এই পরিস্থিতিতে আপনি কি কখনও যাত্রার সময় ভেবে দেখেছেন যে ট্রেন যখন বিদ্যুতে চলছে, তখন মানুষ কেন তার ভিতরে বসে কারেন্ট অনুভব করছে না? ট্রেন বিদ্যুতে চললেও কেন বৈদ্যুতিক শক (Electric shock) অনুভব করেন না কেউ? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে ২৫ হাজার ভোল্টের কারেন্ট প্রয়োজন হয়। এখন এত বেশি বিদ্যুতের বিদ্যুৎ থাকার পরও আজ পর্যন্ত একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি যাতে কোচগুলোতে কারেন্ট চলার অভিযোগ উঠেছে।

 আসলে কথা হলো ট্রেনের ইঞ্জিন বৈদ্যুতিক তার থেকে যে কারেন্ট পায় তা সরাসরি প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে পাওয়া যায় না। এ কারণে ট্রেনের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। প্যান্টোগ্রাফ একই জিনিস যা ট্রেনের ইঞ্জিনে ইনস্টল করা হয়। এটি সরাসরি বৈদ্যুতিক তারের সংলগ্ন। অর্থাৎ, এই একটি অংশের কারণে ট্রেনে কারেন্ট পৌঁছায় না। আরও সহজ ভাষায় বললে ইঞ্জিনের প্যান্টোগ্রাফের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। একই সময়ে, প্যান্টোগ্রাফের নীচে ইনসুলেটর রয়েছে যা ইঞ্জিনের শরীরে কারেন্ট ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।

digha train

এখন প্রশ্ন উঠছে ট্রেনটি এসি (অল্টারনেটিং কারেন্ট) কারেন্ট নাকি ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) কারেন্টে চলে? শুরুর দিকে ট্রেনে ডিসি কারেন্ট দেওয়া হতো। কিন্তু ডিসি কারেন্ট ভারী ট্রেন চালাতে ব্যর্থ হয়। পরে ট্রেনে এসি কারেন্ট ব্যবহার করা হয়। এসি কারেন্টের সাথে ট্রেনটি শুরুতে সহজেই টর্ক পায়। যার কারণে ট্রেন গতি বাড়ায়।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর