প্রিন্স অফ ক্যালকাটা-র সঙ্গে দেখা করার জেদ, আর সেই জেদ থেকেই এসেছে সাফল্য। অনুপ্রেরণার দেখা পেতে কেউ যে এত দূর অবধি যেতে পারে তা জগদ্দলের ব্রতজিৎ-কে না দেখলে বোঝা যেত না। নিজের যোগ্যতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে দেখা করার পথ তৈরি করতে বেছে নিয়েছিলেন এই রাস্তা। আর সেই রাস্তায় হেঁটেই উঠে গেল গিনেস বুকে নাম।
১ টাকার একটা কয়েন দিলে, আপনি হয়ত একটা দেশলাইয়ের প্যাকেট পাবেন, বা পাবেন একটা চকলেট। কিন্তু ভাবতে পারেন যে, এই ১ টাকার কয়েনকে সম্বল করে এই নজীরবিহীন রেকর্ড গড়েছেন ব্রতজিৎ। যদিও তাতেও বিশেষ শান্তি নেই তার। কারণ তার চাহিদা যে অন্যকিছু।
আসলে ছোটবেলা থেকেই সৌরভ গাঙ্গুলি ছিল তার অনুপ্রেরণা। তিনিই ছিলেন তার ধ্যানজ্ঞান। দাদাকে এক ঝলক দেখার জন্য এতদিন অপেক্ষা করে আছেন তিনি। তবে বয়স বাড়লেও সেই সুযোগ আর আসেনি। তবে তিনি জানতেন যে, তার নাম যদি একবার খবরের শিরোনামে আসে তাহলে ঠিক দাদার দেখা মিলবে।
ভাবতে থাকেন উপায়। এমন একটা উপায় যা তাকে দেবে জনপ্রিয়তা। সেই মত একটি রিয়েলিটি শো-তে অডিশনও দেন। তবে ৬ বারের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হন। তারপর বেছে নেন অন্য পন্থা। টানা ১০ মাসের চেষ্টার পর ১ টাকার কয়েনকে কেন্দ্র করে তার নাম উঠে গেছে গিনেস বুক অফ রেকর্ডে।
৮৫টি এক টাকার কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরি করে ব্রতজিৎ-র নাম উঠেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। গোটা পৃথিবীর একাধিক প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি। সেই সার্টিফিকেটও পৌঁছে গেছে তার হাতে।
ছেলের এই সাফল্যে খুশি সরকার দম্পতি। পাশাপাশি খুশির হাওয়া বইছে গোটা জগদ্দলেই। এখন দেখার বিষয়, এরপর কি সৌরভ গাঙ্গুলির দেখা পাবে ব্রতজিৎ। ব্রতজিৎ-র কথায়, ‘মনে হয় এবার রিয়েলিটি শো-তে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। সেখানে এবার অডিশন দেব। দেখি ছোটবেলার সেই স্বপ্নপূরণ হয় কি না।’