‘আমরা মন্দিরের ঘণ্টার মতো, যে যেমন খুশি বাজিয়ে চলে যায়’! বিস্ফোরক কৌশানী

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারী বাংলায় মুক্তি পাচ্ছে ‘ডাল বাটি চুরমা।’ সিনেমাটির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়, (Koushani Mukherjee)। আর ছবি মুক্তির আগেরদিন এক সংবাদমাধ্যমের সামনে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। শুরুতেই জানিয়ে দেন ঠিক কতটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়েছে তাকে। সমস্ত দিকে সতর্ক দৃষ্টি বজায় রেখে কাজ করতে হয়েছে তাকে।
যদিও টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে খুব বেশি গভীরে ঢোকেননি কৌশানি। কিন্তু চেক তার হাত দিয়েই গেছে। বাড়ির লক্ষ্মী রীতি মেনে এই কাজ করা হয়েছে। এরপরই তার দিকে প্রশ্ন ধেয়ে যায় যে, ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক-নায়িকাদের পারিশ্রমিকে বৈষম্যের কথা বেশ শোনা যায়। কিন্তু তিনি নিজে নায়িকা হওয়ার পাশাপাশি প্রযোজক হয়ে এ বিষয়ে কী ভেবেছেন?
কৌশানীর বক্তব্য বাকিরা কি করবে সেই নিয়ে তার কোনো কথা নেই। কিন্তু পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্যটা ইন্ডাস্ট্রিতে বড্ড বেশি চোখে লাগে তার। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তিনি নিজেও যে এই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সেকথাও স্পষ্ট করে দেন কৌশানি। নায়কের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করলেও মেলেনি উপযুক্ত পারিশ্রমিক।
এবিষয়ে তিনি অভিনেতা বনিকেও জিজ্ঞাসা করেন। বেশি কাজ করার পরও তিনি কেন কম টাকা পাবেন। এই কথা উঠতেই প্রশ্ন আসে, ‘এই কারণে আপনার সঙ্গে বনির ইগোর লড়াই হয়েছে?’ কৌশানী উত্তরে বলেন,‘না, ওকে ইগো দেখিয়ে আমি দিনের শেষে কোনও লাভ করতে পারব বলে মনে হয় না। ও নিজে খেটে এই জায়গা তৈরি করেছে।’ তবে এক্ষেত্রে বনির ওপর কোনো রাগ নেই তার, কারণ দোষটা তার নয়।
এছাড়া প্রযোজক হওয়ার পর অনেক কিছুতেই যে বদল এসেছে সেকথা জানিয়েছেন কৌশানী। অনেকেই অল দ্য বেস্ট জানিয়েছেন। কিন্তু কিছু মানুষ আজও পিছন থেকে খোঁটা দিচ্ছে তাকে। যদিও তিনি সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তবে এই ছবি নিয়ে তিনি নিজে যে একটু নার্ভাস সেকথাও জানিয়ে দেন অভিনেত্রী।
একইসাথে ছবি ভালো লাগার বিষয়ে কৌশানীর বক্তব্য, ‘আমরা আসলে মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে।’ তিনি যে বিভিন্ন ট্রোলারদের আক্রমণ করলেন সেটা স্পষ্ট এই থেকে। শেষে কৌশানীকে প্রশ্ন করা হয় প্রধান চরিত্র ছাড়া অভিনয় করতে রাজি হলেন কিভাবে? নায়িকা সটান উত্তর দেন, ‘পোস্টারে মুখ না থাকলেও সবাই জানেন যে, এই ছবিতে কৌশানী আছে।’