এক পা নেই, তবুও গরিব বাচ্চাদের পড়াতে রোজ ২০ কিমি সাইকেল চালান মিলন! নেন না এক টাকাও

আমরা নিজেদের রোজকার জীবনে অনেক অজুহাত দিয়ে থাকি কাজ না করার জন্য। কখনো আবার নিজের ভুলের দোষ চাপাই অদৃষ্টের ওপর। কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন যারা অদৃষ্টকে দুষে নয়, বরং নিজের দ্বারা কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা রাখেন। আর সেই গুটিকয়েক মানুষের একজন হলেন মিলন মিশ্র।

আজ তিনি বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যারা পরিস্থিতির কাছে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে তারা আজ মিলন মিশ্রকে দেখে জীবনে গতি ফিরে পেয়েছে। একটি পা নেই তার, কিন্তু তাতে কি, মনের জোর আছে তো! এক পা না থাকার পরেও তিনি যা করে দেখিয়েছেন তা কোনো সক্ষম মানুষের পক্ষে করাও অসম্ভব।

এক পা নেই মিলন মিশ্রর। কিন্তু তিনি ২০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে গরীব শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য ঠিক পৌঁছে যান। আর সেই পথ পাড়ি দিতে কখনো তার সঙ্গী একটা লাঠি তো কখনো কদাচিৎ গাড়ি পেয়ে যান তিনি। প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও রোজ ৪০ কিমি ভ্রমণ করেন তিনি।

এই ব্যাপারে মিলন মিশ্র জানান যে, তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে পড়াশোনা করার জন্য। দীর্ঘ ৬ কিমি হেঁটে স্কুলে যেতে হতো তাকে। বাকিদের যাতে সেই কষ্ট না করতে হয় সেকাজে ব্রতী হয়েছেন তিনি। গরীব শিশুদের পড়ানোর জন্য তিনি যে কষ্ট করেন তা বলে বোঝানোর নয়।

মিলন মিশ্রর কাছে থেকে জানা যায় যে, তিনি এমন এক সময় বড় হয়েছেন যখন তার পরিবারের সদস্যরা তার পড়াশোনর ফি সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এমনও হয়েছে যে, সেই ফি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। তাই বহু কষ্টে বড় হওয়া মিলনবাবু পড়াশোনার সঠিক মূল্য দিতে জানেন।

milan mishra 2 62ff4b6e26a6a

নিজের এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয় তার পড়াশোনা। এরপর নিজের স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন তিনি। তারপর এখন শিশুদের পড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত মিলন মিশ্র অতদূর গিয়ে ছাত্রদের পড়লেও তিনি কোনো ফি নেননা। অভিভাবকরা তাকে যা টাকা দেয় তাতেই কোনোভাবে নিজের খরচ চালিয়ে নেন তিনি।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button