রাস্তার ধারে ডিম বিক্রেতা থেকে আজ রাজ্যের বড় অফিসার! সিনেমাকেও হার মানবে তার সংঘর্ষের কাহিনী

ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। মনের মধ্যে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে থাকলে এবং সেই ইচ্ছের জন্য কঠোর পরিশ্রম করলে একদিন না একদিন সাফল্যের দোরগোড়ায় ঠিকই পৌঁছে যাবেন। সাফল্য অর্জনের চেষ্টাতে যদি কেও কঠোর পরিশ্রম করে যায় তাহলে তাকে যে কেউই থামাতে পারেনা সেকথা আবারো প্রমাণিত হয়েছে।

আজ আমরা যার কথা বলবো তিনি একসময় রাস্তার ধারে বসে ডিম বিক্রি করতেন। তাই বলে নিজের ইচ্ছেকে দমন করে রাখেননি তিনি। নিজের আবেগকে সঙ্গী করে বড় কিছু করার লক্ষ্যে সবদিনই কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছেন তিনি। আর আজ নিয়তি তাকে তার লক্ষ্যে ঠিক পৌঁছে দিয়েছে।

এখানে আমরা বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলার বাসিন্দা বীরেন্দ্র কুমারের কথা বলছি। বিহার পাবলিক কমিশনের পরীক্ষাতে ৬৪ তম স্থান দখল করেছেন তিনি। রেজাল্ট জানার পর জীবনের বড় স্বপ্ন পূরন হয় তার। প্রথম চেষ্টাতেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যান তিনি। এক সময়ের ডিম বিক্রেতা আজ রাজ্যের সাপ্লাই অফিসার হয়েছেন।

ছোট থেকে মানুষ হয়েছেন হতদরিদ্র এক পরিবারে। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে বড় শহর গিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা তার। নিজের বাড়িতে বসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। টাকা উপার্জনের জন্য দিনের বেলা ডিম বিক্রি করতেন এবং রাত্রিবেলা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন তিনি।

তার বাবা করতেন জুতো সেলাই এর কাজ। কিন্তু ২০১২ সালে বাবা মারা গেলে পরিবারের ওপর ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। বাবা মারা গেলে পুরো সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাদের তিন ভাইয়ের ওপর। বড় ভাই ভাড়ায় রেশনের দোকান খোলেন। সেখান থেকেই কোনরকমে চলতো তাদের সংসার। এরপর বীরেন্দ্র ডিম ব্যবসা শুরু করেন পরিবারকে সাহায্য করার জন্য।

ঘরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বীরেন্দ্রর বড় দাদা তাকে ডিম ব্যবসা থেকে সরে এসে পূর্ণাঙ্গ পড়াশোনায় মন দিতে বলেন। এরপরই বীরেন্দ্র পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন আর আজ তার কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। রাস্তার ধারে হাতে ঠেলা গাড়ি থেকে অফিসার হয়েছেন তিনি।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button