রাস্তার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দোতলা বাড়ি! লাখ লাখ টাকা খরচ করে অভিনব পদ্ধতিতে সরাল পাঞ্জাবের কৃষক

আপনি এর আগে নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, ৫০-৬০ বছরের পুরনো গাছ এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জন্য জায়গায় বসানো হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কখনো কারো বাড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও বসাতে দেখেছেন? হ্যাঁ এমনই এক অত্যাশ্চর্য্যক ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবে। সেখানের সাংরুরে এক কৃষকের বাড়ি ১-২ ফুট নয়, একেবারে ৫০০ ফুট সরানো হয়েছে।

ওই কৃষকের নাম সুখবিন্দর সিং। তার দোতলা বাড়িকে ৫০০ ফুট সরানো হয়েছে কারণ সেই বাড়িটি দিল্লি-জম্মু-কাটরা এক্সপ্রেসওয়ের পথে এসে গিয়েছিল। ওই কৃষক নিজের থেকেই এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছেন। ওই কৃষক এটা জানতেন যে, নতুন বাড়ি তৈরির থেকে ওই বাড়িটিকে সরাতে কম খরচ হবে। আর সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ঘটনা।

মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই দেশের পরিকাঠামো ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ঘটায়। ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় দেশে তৈরি হচ্ছে অনেক এক্সপ্রেসওয়ে। দিল্লী এবং জম্মুর মধ্যে এমন একটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে যা হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব হয়ে জম্মুর কাটরা পর্যন্ত গেছে। আর সেই রাস্তাই পেরিয়েছে সাংরুর জেলার মধ্য দিয়ে।

ঘর সরানো নিয়ে সুখবিন্দর জানান যে, তিনি নাকি অনেক কষ্টে বাড়িটি তৈরি করেছেন। ২০১৭ সালে তৈরি করার পর ২০১৯ সালে শেষ হয় বাড়ির কাজ, এতে তার ১.৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। তবে তার সাধের সেই বাড়িটিই এবার এক্সপ্রেসওয়ের একদম মাঝখানে পড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত ওই কৃষকের।

এর আগে তার গ্রামের এক বন্ধুর বাড়ি সরানোয় সেখান থেকেই এই বাড়ি স্থানান্তরিত করার ধারণা আসে তার কাছে। সেই ব্যক্তির কাছে নাম্বার নিয়ে তিনিই যোগাযোগ করেন যারা বাড়ি একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরান তাদের কাছে। এতদূর (৫০০ ফুট) বাড়ি সরানোর অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু সে এই কাজ করে রেকর্ড গড়বে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে ১০-১২ ফুট সরাতে যেখানে ২ মাস লেগেছে সেখানে এই বাড়ি সরাতে কতদিন লাগে সেটাই দেখার।