ভাড়া বৃদ্ধির মেট্রোর, মাথায় হাত জনগণের! বিকল্প পথ হিসেবে বাস-অটোতেই যাতায়াত

মেট্রো…লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস, ট্রাম, অটোর পাশাপাশি এই গণপরিবহণ ব্যবস্থাটির ওপর সকলেই ভরসা করে থাকেন। কিন্তু এই মেট্রোর টিকিটের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় নিত্যযাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা ভরসা রাখছেন বাস, অটোয়। শুনতে অবাক লাগলেঅ এটাই সত্যি।
এমনই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এদিকে যাত্রীরা যেহেতু মেট্রোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বলে ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তও নেয় প্রশাসন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই নাগপুর মেট্রোতে প্রতিদিন ১.২৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী ছিল। এখন তা বর্তমানে কমে ৭০ হাজারে নেমে এসেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যখন যাত্রীর সংখ্যা ১.২৫ লক্ষে পৌঁছেছিল, তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল যে জনপ্রিয়তা যেহেতু বাড়ছে তাই ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মহামেট্রো জানুয়ারিতে চারবার ভাড়া বাড়িয়েছে। এরপরেই হু হু করে কমতে থাকে যাত্রী সংখ্যা।
বর্তমানে এই যাত্রী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজারে। তবুও কর্তৃপক্ষ ভাড়া বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত নয়। ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত মেট্রো ছিল শহরের সবচেয়ে সস্তা গণ পরিবহনের মাধ্যম।
দরিদ্র, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিকরা মেট্রোতে প্রচুর সংখ্যায় যাতায়াত করতে শুরু করে। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির পর দরিদ্র মানুষ মেট্রোর পরিবর্তে অটোরিকশা বা বাইসাইকেলের আশ্রয় নিচ্ছেন। এহেন অবস্থায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বড় সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৩০% ছাড় দেয়। এরপর সপ্তাহের শেষ দিন সব যাত্রীকে সমান ছাড় দেওয়াও হয়। তবে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে আরও কমে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে কর্মকর্তারা সীমাহীন যাত্রার জন্য প্রতিদিন ১০০ টাকা করে পাসের প্রস্তাব দেন। বিশেষ বিষয় হল, ভাড়া বাড়ানোর আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি মেট্রো বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, যাত্রীরা এত বেশি ভাড়া দিতে পারবেন না জেনেও স্থানীয় মন্ত্রী ভাড়া বৃদ্ধি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেননি। ভাড়া কমানো ছাড়া প্রতিদিন দুই লাখ যাত্রীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়।