নির্ভেজাল প্রেম! আদালতের শুনানিতে অর্পিতাকে জিভ ভ্যাঙিয়ে দুষ্টুমি পার্থর, দেখালেন হার্ট সাইনও

চাকরি কেলেঙ্কারিতে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। অন্যদিকে পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা, সোনার গহনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছিল। এখন দুজনাই জেল খাটছেন। তবে দুজনার আলাদা আলাদা সেল।
পার্থবাবুর সঙ্গে হাঁটুর বয়সী অর্পিতার নাম জড়িয়ে পড়ায় চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছিল। কিন্তু প্রেমের কী আর কোনও বয়স হয়? লোকের নিন্দাকে পাত্তা না দিয়ে এখনও দুজনেই দুজনাকে ভালোবেসে চলেছেন, আর এর প্রমাণ মিলল আজ আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে।
দূরে অন্য সেলে থাকা বান্ধবীকে দেখে আবেগ সামলাতে পারলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ভার্চুয়াল শুনানিতেই বান্ধবী অর্পিতাকে দেখে জিভ ভ্যাঙানি দিলেন পার্থবাবু। ওদিকে প্রেমিকের এহেন কাণ্ড দেখে সাড়াও দেন অর্পিতা। হেসে গড়িয়ে পড়েন একদা অভিনেত্রী।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে শুরু হয় মিমের বাহার। কেউ কেউ তো এই জুটিকে রোমিও-জুলিয়েট, লায়লা-মজনুর সঙ্গেও তুলনা করেছেন। সময় তখন দুপুর ২ টো বেজে ৫০ মিনিট। স্ক্রিনে দেখা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। প্রথমেই একে অপরকে দেখে মুচকি হাসলেন। ইশারায় জানতে চাইলেন ভাল আছেন কি না। দু’জনেই জানালেন তাঁরা ভাল আছেন।
মিনিট চারেক বাদে পার্থ ইশারায় অর্পিতাকে জিজ্ঞেস করলেন, খেয়েছেন কিনা। একই প্রশ্ন করেন অর্পিতাও। অর্পিতা ইশারায় জিজ্ঞেস করেন পার্থ শুনতে পাচ্ছেন কি না। পার্থ উত্তরে জানান, শুনতে পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শুনতে পাচ্ছিলেন না অর্পিতা। এরপরই অর্পিতার সঙ্গে মজা শুরু করেন পার্থ। জিভ ভেঙাতে দেখা যায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। তা দেখে হেসে ফেলেন অর্পিতাও। আবার অর্পিতার প্রশ্ন, খাওয়া হয়েছে কিনা?
এরই মাঝে পার্থবাবু অর্পিতাকে দেখে হার্ট সাইন দেখান। এতে আবার লাজুক হাসি দেন অর্পিতা। এরপর ৩ টে বেজে ৮ মিনিট নাগাদ নিজের নীল রঙের ফতুয়া হাত দিয়ে দেখান পার্থ। তা দেখে অর্পিতা মাথা নেড়ে সম্মতি জানান। সময় ৩ টে বেজে ১০ মিনিট, অর্পিতা এবার ইশারায় পার্থকে জিজ্ঞেস করেন চা খাওয়া হয়েছে কিনা। ঠিক ওই সময় পার্থ বুকের বাঁদিকে আঙুল দিয়ে কিছু লেখার ইশারা করেন। ফের একে অপরকে দেখে হাসতে থাকেন।
এরই মাঝে পার্থ কিছুক্ষণের জন্য ডিসকানেক্টেড হয়ে যান। তখন অর্পিতার চোখে মুখে দুশ্চিন্তা ছাপ স্পষ্ট বোঝা যায়। পার্থর কানেকশন ফিরতেই যেন স্বস্তি পান তিনি। এরপর অর্পিতাকে চুল সামনে আনতে দেখা যায়। তা দেখে আবার মুচকি হাসেন পার্থ। পালটা পার্থর গোঁফের প্রশংসা করেন অর্পিতা। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও ডিসকানেক্টেড হয়ে যান পার্থ। ফিরে পার্থ জানান, তিনি চা খাচ্ছিলেন।
দুজনার এই প্রেমালাপ বর্তমানে সংবাদের শিরোনামে। দুজনার কাণ্ড দেখে হতবাক সবাই। শেষ বয়সে এসেও যে এমন ভাবে প্রেম করা যায়, তা দেখে চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই। কারণ বেশীরভাগ মানুষই এখন কাজে এত ব্যস্ত যে, তারা যৌবন কালেই প্রেম করার সুযোগ পান না। এদিকে জেলের প্রাচীরও আটকাতে পারছে না পার্থ-অর্পিতার প্রেম।