সাহায্যের জন্য ছটফট করা পাকিস্তান নিতে চলেছে এমন এক সিদ্ধান্ত, মাঠে মারা পড়বে জনতা!

বিরাট অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি পাকিস্তান (Pakistan)। দুর্ভিক্ষ পীড়িত পাকিস্তান আরো বড় ধাক্কা পেতে পারে। স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান (State Bank of Pakistan) তাদের আসন্ন পর্যালোচনা সভায় সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। এমনকি এই পরিমাণ ২১% এ পৌঁছাতে পারে। যা দেশটিকে আরো সমস্যায় ফেলবে।
পাকিস্তানি ব্রোকারেজ ফার্ম আরিফ হাবিব লিমিটেড (AHL) জানান যে, পাকিস্তানের নগদ সংকটে থাকলে মুদ্রাস্ফীতি কমতে পারে। সেজন্য দেশের অন্দরে নগদের অভাব তৈরি করে যুঝতে পারে পাকিস্তানি সরকার। এটাই সবচেয়ে বড় হার বৃদ্ধি পাকিস্তানি স্টেট ব্যাংকের। আরিফ হাবিব লিমিটেড জানিয়েছে যে, পর্যালোচনা কমিটির সভা ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। তখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে এই নিয়ে।
যা খবর আসছে তাতে জানা যাচ্ছে যে, স্টেট ব্যাংক পাকিস্তান তাদের সুদের পরিমাণ বাড়িয়েছে ১০০ বেসিস পয়েন্ট। এবার সুদের হার বাড়লে সেটি ২১% এ পৌঁছাবে। সেখানে AHL জানিয়েছে, অতিরিক্ত কর, শুল্ক বৃদ্ধি, পাকিস্তানি রুপির দুর্বলতা এবং রমজান মৌসুমের কারণে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি রুপির দুর্বলতাও কিছুটা কমবে এই সিদ্ধান্তের কারণে।
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে পাকিস্তান তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ৩০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ২১ থেকে ২৩% থাকলেও সম্প্রতি ২৭ থেকে ২৯% এ উন্নীত করেছে। এদিকে পলিসি রেট বৃদ্ধির কারণে ঋণ ব্যায়বহুল হয়ে উঠছে। AHL এর মতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে দীর্ঘমেয়াদী আলোচনার জন্য নীতিগত হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ন পাকিস্তানের কাছে।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় পাকিস্তান সরকার IMF-এর কাছে আরো ১.১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চাইলেও সেটি এখনো মঞ্জুর করা হয়নি IMF এর থেকে। জানিয়ে রাখি, পাকিস্তানের মোট ঋণ পৌঁছেছে ৬০ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপিতে। যা কিনা দেশের জিডিপির ৮৯ শতাংশ। চিনের থেকেই ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।