৭৬ বছরেই ধরাশায়ী পাকিস্তান, হাতে মাত্র ২১ দিনের খরচ! টাকার জন্য বিক্রি করছে দূতাবাসও

স্বাধীনতার ৭৬ বছরও পূর্ণ হয়নি, অথচ পাকিস্তান (Pakistan) ডুবে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় IMF এর বেলআউট প্যাকেজ পাওয়া গেলেও তা পাকিস্তানের ডুবন্ত নৌকা বাঁচাতে পারবে না। অবস্থা এমন যে, পাকিস্তানের ঋণ দেশের জিডিপির ৮০ শতাংশের সমান হয়ে গিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট আছে, যা দিয়ে পাকিস্তান মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে। এর পর পাকিস্তান আর খাদ্য ও পানীয়ের পাশাপাশি জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারবে না।
দূতাবাসও বিক্রি করতে চায় পাকিস্তান
বলে দিই যে, ২০২২ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থ সংগ্রহের জন্য পাকিস্তান এখন যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। তাঁরা আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে জনগণের ওপর ভারী বোঝা চাপিয়েছে। ঋণ পাওয়ার জন্য পাকিস্তান ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিয়ের লন, শপিং মল ও মার্কেটগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে বলা হয়েছে যাতে জ্বালানি খরচ কমানো যায়। আর এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে তার দূতাবাসের সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় পাকিস্তান।
চীনের ঋণে ডুবে গেছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ রয়েছে ১০ লাখ কোটি টাকা। আইএমএফ থেকেও ৫৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। ঋণের ৩০ শতাংশ নেওয়া হয়েছে চীন থেকে। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৬০ টাকায়। ২০২২ সালে যা ছিল ১৭৮ টাকা। টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি বিলও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে পাকিস্তানের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জনগণকে অন্য কোথাও থাকার জায়গা খুঁজে নিতে হবে। যারা ধনী তারা বিদেশ যাবে। যারা দরিদ্র তারা হয় সমস্যায় পড়বে অথবা প্রতিবেশী দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করবে।
পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি কত?
পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এমন যে, এক কেজি আটার দাম প্রায় ৯০ টাকা হয়ে গিয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকা কেজি। ডিজেল প্রতি লিটারে ২৭০ টাকা এবং দুধ প্রতি লিটার ১৫০ টাকা হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেলে কোম্পানি ও কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। বিমান সংস্থাও স্থবির হয়ে পড়বে। পাকিস্তানে খাদ্যশস্যের সাথে ওষুধও পাওয়া যাবে না। সমাজে অপরাধ বাড়বে। বর্তমানে তার বন্ধু চীন, সৌদি সহ অন্যান্য দেশও পাকিস্তানকে ঋণ দিতে প্রস্তুত নয়।