ক্ষুধার্ত মরবে ৫১ লাখ মানুষ, গরিবের রুটি খেয়ে নিচ্ছে শাসক! ভয়াবহ অবস্থা কাঙাল পাকিস্তানে

পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কমবেশি সবাই বেশ ওয়াকিবহাল। বিশেষ করে যেভাবে সেদেশে খাওয়া পরার অভাব বেড়েছে তাতে শীঘ্রই দেশটিকে নিজেদের বিভিন্ন লোনের ডিফল্ট ঘোষণা করতে হবে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত তালিবানি রাজে থাকা আফগানিস্তানের অবস্থাও পাকিস্তানের থেকে অনেকাংশে ভাল। এতবড় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আফগানিস্তানও নেই।
ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানের তেল কোম্পানিগুলো তেলের জন্য আকুল হয়ে ওঠেছে। কিন্তু ডলার না থাকায় তেল আসছেনা পাকিস্তানে। আসন্ন খারাপ সময় সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করেছে সেদেশের তেল কোম্পানিগুলো। এখন আবার কলার দাম হয়েছে ৫০০ টাকা, আঙ্গুরের দাম ছাড়িয়েছে ১৬০০ টাকা।
একদিকে খাদ্য সংকট তো অন্যদিকে রমজান চলছে। এমন সময় খাদ্য সংকটের কারণে আরও বড় সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। সেখানের এক রান্নাঘর পরিচালনাকারী এগিয়ে এসেছেন মানুষজনকে সাহায্য করতে। জনৈক রান্নাঘরের পরিচালক পারভীন সাঈদ বলেন, রমজানের সময় প্রতিদিন আমরা রেশন দিচ্ছি, ID দেখালেই মিলবে রেশন।
পারভীন জানান, বিগত ২০ বছরের কোনোদিনই এতবড় সংকট দেখেননি তিনি। অবস্থা এমন হয়েছে যে, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২২২.২৮%। আটার দাম বেড়েছে ১২০.৬৬%। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১০২.৮৪%। এই সমস্ত কিছু মিলিয়েই সমস্যা বেড়ে ওঠেছে পাকিস্তানী নাগরিকদের। সাথে শিল্প অথবা ইন্ডাস্ট্রি না থাকার কারণে মানুষের কাছে কাজও নেই। যাও বা ছিল সেখানেও চাকরি হারিয়েছেন বিরাট অংকের লোক।
সেখানের আরেক ত্রাণ শিবির চালানো ইধি ফাউন্ডেশননের মালিক বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরেই বিনামুল্যে খাবার দিয়ে আসছেন তারা।আগে সেখানে ৭ হাজার মানুষ খেলেও বর্তমানে মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০,০০০ এরও বেশি। এই অবস্থা থেকে বেরোনোর উপায় IMF এর বেলআউট প্যাকেজ। কিন্তু প্রশ্ন হলো পাকিস্তান সেই কড়া দাওয়াই খাওয়ার জন্য তৈরি কিনা।