টাকা পয়সার চরম অভাব! হাল ফেরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাবান বিক্রি করছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী

কার যে কখন কিভাবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, সেটা কেউই বলতে পারেনা। যেমন ভুবন বাদ্যকর, একেবারে হাভাতে অবস্থা থেকে বানিয়েছেন বিশাল অট্টালিকা। আবার রেমন্ডস কোম্পানির মালিক বিজয়পত সিংহানিয়াকে দেখুন খ্যাতির চরম শীর্ষ থেকে নেমে এসেছেন একেবারে নিচে। তেমনই আরেক গল্প বলতে চলেছি আজ।
তিনি ছিলেন নায়িকা, রুপোলি পর্দার মোহিনী। এক সময় পর পর সুপারহিট ছবি দিয়ে মন মাতিয়েছেন দর্শকদের। লাস্যময়ী হাসি দিয়ে প্রাণ কেড়েছেন বহু তরুণের, আর তাঁকেই কিনা অন্যের দরজায় দরজায় গিয়ে সাবান বিক্রি করতে হচ্ছে! না কোনো সিনেমার শ্যুটিং নয়, বাস্তব জীবনেই তাকে করতে হচ্ছে এই কাজ। কে এই নায়িকা? কেন এল তার এতটা খারাপ সময়?
তার নাম ঐশ্বর্য, তিনি দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত নায়িকা ছিলেন। বৈভব বা অর্থের অভাব ছিলনা তার। পর পর বহু ছবি হিট হওয়াতে দর্শকদের ভালোবাসা আর টাকা পয়সা কোনোটারই অভাব ছিলনা। তার মাও ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এবং তিনি নিজে জিতেছেন জাতীয় পুরষ্কার। কিন্তু আজ তার অবস্থা আর পাঁচজন অতি সাধারণ মেয়ের চেয়েও খারাপ।
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ১৯৮৯ এর হিট ছবি ‘আদিভিলো অভিমন্যুডু’ এর হাত ধরে। এরপর দক্ষিণের বিভিন্ন ভাষায় কাজ করেছেন ২০০ টিরও বেশি ছবিতে। একাধিক ছবি সুপারহিট হয়েছে তার। তার জনপ্রিয়তা শুধু তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতেই থেমে থাকেনি, তামিল, মালয়ালাম, কন্নড় ছবির জগতেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।
কিন্ত এত সাফল্যের পরেও আজ একদম ভিখিরির মত অবস্থা হয়েছে তার। যদিও প্রশ্ন আসবে কিভাবে? এত সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে ঐশ্বর্যর কিভাবে ঐশ্বর্য্যের অভাব হয়। আসলে কেরিয়ার যখন তুঙ্গে তখনই তিনি বিয়ে করেন তনভির আহমেদের সাথে। আর সেখানেই ইতি টানেন নিজের কেরিয়ারে।
আসলে বিয়ের পরেই রুপোলি পর্দা থেকে সরে আসেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি তার। ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন আর ১৯৯৬ সালে হয়ে যায় বিবাহ বিচ্ছেদ। এরপর একটা সময় পরে তার একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে যায়। আর এই ঘটনার পরেই আর্থিক অসচ্ছলতা একেবারে চেপে ধরে তাকে।
বহু জায়গাতে চেষ্টা করলেও সিনেমা না টেলিভিশন, কোথাও চান্স পাননি তিনি। এরপর নিজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন এবং সেখানেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রাণপাত চেস্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া অর্থের প্রয়োজনে আজ তিনি লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাবানও বিক্রি করছেন।