ঋণে ডুবে বাড়ি বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন বৃদ্ধ, ভাগ্যের ফের দু’ঘণ্টা আগে লটারিতে পেলেন ১ কোটি টাকা

ভাগ্যের পরিহাস নিয়ে মানুষ সর্বদাই অনিশ্চিত। কখন যে কোথায়, কীভাবে মানুষের ভাগ্যের চাকার পরিবর্তন হয় তা বলা প্রায় অসম্ভব। তেমনই এক ভাগ্য পরিবর্তনের কথা আপনাদের বলতে চলেছি।

কেরলের কোঝিকড়ে ঘটেছে এই ঘটনা। সেখানের ৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাওয়া বহুদিন ধরে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে তিনি নিজের বাড়ি বিক্রি করার জন্য ডিলারের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। কিন্তু তখনই বদলে যায় তার ভাগ্য।

মোহাম্মদ বাওয়া তার ২,০০০ বর্গফুটের বাড়ি বিক্রি করার জন্য ডিলার খুঁজে সমস্ত কিছু বিক্রি করার কথা ভাবছিলেন। ঠিক সেইসময় তিনি এক কোটি টাকার লটারি পেয়ে যান। মাত্র ৮ মাস আগে তিনি নিজের বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ঋণের ভরে জর্জরিত মোহাম্মদ বাওয়া বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

বাড়িতে তার স্ত্রী এবং তার এক ছেলে ও চার মেয়ে। দুই মেয়ে অবশ্য বিবাহিত। মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সময় ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। তার আত্মীয়দের কাছেও বিরাট ঋণ রয়ে হয়ে তার। ছেলেকে তিনি কাতারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেসময় হঠাতই তিনি লটারির টিকিট কাটেন ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়।

আর যখন তিনি তার স্বপ্নের বাড়ি ৪০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন ঠিক সেসময়ই ১ কোটি টাকার লটারি পেয়েছিলেন তিনি। ট্যাক্স কেটে তিনি পাবেন মোট ৬৩ লক্ষ টাকা। এবার সেই টাকা দিয়েই তিনি নিজের সমস্ত ঋণ শোধ করতে পারবেন।