মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই উধাও মেয়ে! শেষমেশ যেই অবস্থায় মিলল, দেখে অবাক সবাই

গত ১৫ জানুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান রানীগঞ্জের বাসিন্দা সাথী চক্রবর্ত্তী। তার বাবা মনোজ চক্রবর্ত্তী কাজ করেন স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে। সেখানেই রয়েছে তার মা, বোন এবং ভাই। বাড়ির বড় মেয়ে তিনি। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) পাশ করার পরেও হতাশা এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন সাথী।

এরপর হঠাৎ একদিন কাওকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি সাথী। থানা পুলিশ করেও কিছু লাভ হয়নি, কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। অন্যদিকে আবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে বোঝা যায় যে, তিনিই হারিয়ে যাওয়া সাথী। এরপর তাকে নিয়ে আসা হয় খড়গ্রামের একটি হোমে। সেখানেই তার মানসিক চিকিৎসা চলতে থাকে। অবশেষে তিনি নিজের বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারেন। আর তারপরই যোগাযোগ করা হয় সাথীর পরিবারের সাথে। শুক্রবার দিন তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বহুদিন পর মেয়েকে খুঁজে পেয়ে বেশ খুশি হয়ে ওঠেন তার পরিবারের লোকেরা। তার বাবা বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ না পেয়ে মেয়েকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। এই হোম আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওর খোঁজ দেয়। এই হোমে আমার মেয়ে খুব ভাল ছিল।হোম কর্তৃপক্ষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।’

ওই হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিঠু মন্ডল জানিয়েছেন যে, প্রথম দিকে অর্থাৎ যখন সাথীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় তখন কিছুই বলতে পারেনি সে। এরপর তার চিকিৎসা শুরু হয়, আর সাথে চলতে থাকে কাউন্সিলিং। তারপরই একদিন নাম ঠিকানা খোঁজ দিতে পারে সাথী। সাথীকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারায় বেশ খুশি হোম কর্তৃপক্ষ।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button