পাত্তা পাবেনা দিঘা! পুজোর ছুটিতে মাত্র ৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন কলকাতার অদূরে এই জায়গা

সাধারণত দূর্গাপুজার সময় বেশ লম্বা ছুটি থাকে সরকারি কর্মচারিদের। আর বাঙালির কাছে পুজো মানেই চারদিন চুটিয়ে আনন্দ করার পর কোথাও একটা ঘুরে আসা। তবে সবার তো আর বাজেটে কুলোয়না। তাই খুব কম বাজেটে ১ বা ২ দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এই ৩ টি জায়গা থেকে। আর তাও আবার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো বাইক, বাস এবং ট্রেন এই তিনটি উপায়েই ঘুরে আসতে পারবেন এই ত টি জায়গা থেকে।
কেল্লার মাঠ : ডায়মন্ডহারবারে অবস্থিত কেল্লার মাঠ থেকে ঘুরে আসাই যায়। হুগলি নদীর ধারে অবস্থিত এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনো নামি পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ে কম নয়। শীতের সময় আলাদাই ক্রেজ থাকে এই স্থানটির। এই কেল্লার মাঠকেই ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। এখান থেকে বকখালি যাওয়ারও সুব্যবস্থা রয়েছে।
কীভাবে যাবেন : একমাত্র উত্তরবঙ্গ বাদে রাজ্যের সমস্ত জায়গা থেকেই বাস বা ট্রেনে একদিনেই ঘুরে যাওয়া যায় কেল্লার মাঠ। সমস্তকিছু ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে এই ট্যুর। তবে সপরিবারে গেলে এবং রাত্রিবাস করতে চাইলে সেই ভাড়া একটু বাড়তে পারে।
শান্তিনিকেতন : সামনাসামনি ঘুরে আসার জায়গার কথা বলা হচ্ছে আর শান্তিনিকেতনের নাম আসবেনা তাই কখনো হয়? চারদিন চুটিয়ে হইহুল্লোড় করার পর যদি একটু শান্ত নিরিবিলি জায়গার খোঁজে থাকেন তাহলে কবি গুরুর এই জায়গা আপনার জন্য আদর্শ।
বাস বা ট্রেনে ঘন্টা খানেকের দূরত্বে অবস্থিত এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নির্মলতা আর শান্ত পরিবেশ সবকিছুই মন কাড়ার মতো। পাশাপাশি রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি, সোনাঝুরি, খোয়াই দেখেতে। আর আদিবাসী গ্রাম ঘুরতে চাইলে তাও রয়েছে এখানে। থাকা খাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত পেয়ে যাবেন অনায়াসে।
দীঘা : বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার লিস্ট তৈরি করলে সবার আগে যে নামটা থাকবে তা হলো দীঘা। এইমুহুর্তে এটিই বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় টুরিস্ট স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর হবে নাই বা কেন, এতো কম খরচে এমন মনোরম পরিবেশ আর কোথায় পাওয়া যায়! সমুদ্রের ঢেউ, ঘন ঝাউবন, সমুদ্রের নোনা হাওয়া কী নেই এখানে।
কীভাবে যাবেন : বাসে, ট্রেনে বা নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বে দীঘা অবস্থিত। কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছাতে খুব বেশি হলেও ৫ ঘন্টার বেশি সময় লাগা উচিত নয়। খরচও মাত্র নামমাত্র। ৫০০ টাকার মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে।