গতি ১৮০ কিমি, আগামী মাসে এই রুটে পথ চলা শুরু র্যাপিড রেলের! সুবিধায় হার মানাবে বিমানকেও

২০১৪ তে পালাবদলের পর দেশের অন্দরে অবকাঠামো ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি স্পষ্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর লক্ষ্য পূরণে ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার উন্নতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই কারণে পুরোদমে কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। আর সেই লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জলদি রাস্তা তৈরির রেকর্ড থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্রেন ইঞ্জিন তৈরী করা থেকে বন্দে ভারতের মত প্রিমিয়াম ট্রেন নির্মাণ করেছে সরকার।
আর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে তৈরি হয়েছে র্যাপিড রেলওয়ে ট্রানজিট সিস্টেম (Rapid Railway Transit System)। দিল্লী থেকে মিরাটের মধ্যে রয়েছে RRTS সিস্টেম গড়ে ওঠেছে। কয়েকদিন আগেই এই সিস্টেমের ট্রায়াল চালানো হয়েছে। আর রেকর্ড ১৮০+ গতিবেগে ছুটেছে ট্রেনটি। মোট ৮২.১৫ কিমি রুট দিল্লী এবং তার আশেপাশের শহরগুলোকে যুক্ত করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত রয়েছে সেখানে। সেখানে কি নেই! রোগী, মহিলাদের জন্য আলাদা কোচ, সুবিধাযুক্ত চেয়ার, ট্রেনের ভিতরে ওয়াইফাই পরিষেবা সহ RRTS সিস্টেমের প্রতিদ্বন্দ্বী রেল নয়, বিমান পরিষেবার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেন। আগামী মার্চ থেকেই সিস্টেমটির সাহিবাদ-দুহাই লাইন শুরু হয়ে যেতে পারে।
৮২.১৫ কিমি মধ্যে মোগ ১৮ কিমি লম্বা লাইনের সাহিবাদ-দুহাই শাখায় পরিষেবা শুরু হতে পারে। সেখানে থাকছে ৪টি স্টেশন। সাহিবাদ, গাজিয়াবাদ, গুলধর, দুহাই এর মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ওভারহেড লাইন সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ। এখানে ১৮০ কিমি বেগে ছুটতে পারবে ট্রেনটি। জানা যাচ্ছে মোবাইল ফোন এবং কার্ডের মাধ্যমে টিকিট পাওয়া যায়।
রোগীদের জন্য বিশেষ কামরা যাতে শীঘ্রই মেডিক্যাল পরিষেবা দেওয়া যায়। এছাড়া ট্রেনের মধ্যে রয়েছে ওয়াই-ফাই, মোবাইল-ইউএসবি চার্জার, বড় জানালা, ইন্টিগ্রেটেড এসি সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় দরজা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, লাগেজ স্টোরেজ, ড্রাইভার ইন্টারঅ্যাকশন সিস্টেম, ডায়নামিক রুট ম্যাপ, সিসিটিভি এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। এখানে প্রাথমিক ভাবে ১৩ টি ট্রেন চালানো হবে। পরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ করা হতে পারে।
অনুমান করা হচ্ছে এই সিস্টেম দিল্লী এবং সংলগ্ন অঞ্চলে যানজট এবং দূষণ কমিয়ে ফেলতে পারবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন তো বটেই, সাথে যাত্রী সুবিধার কথাও মাথায় রেখে এই সিস্টেম তৈরী করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে দিল্লী থেকে মিরাট অবধি পরিষেবা দিতে পারবে এই সিস্টেম। মোট ২৪টি স্টেশন থাকবে এই রুটে। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লী থেকে মিরাট অবধি পৌঁছে যাওয়া যাবে এই RRTS এর মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, ভাড়া নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু ২ টাকা প্রতি কিমি নির্ধারণ করা হতে পারে। মেট্রোর মতো, বিচারকের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি দ্বারা ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া এই সিস্টেমের জন্য অতিরিক্ত ১০৬ কিমি পথের জন্য শীঘ্রই অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।