এই ক্ষেত্রে ভারত সেরার তকমা পেল খড়গপুর রেল ডিভিশন, সবাইকে হারিয়ে এভাবে জিতল খেতাব

ভারতীয় রেল (Indian Railways) স্টেশনের বিজ্ঞাপনী প্রচারের ক্ষেত্রে পুরো ব্যাবস্থাকে ই-অকশনে পরিণত করে। আর এবার তার সুফল উপভোগ করতে শুরু করেছে তারা। যেখানে গত ২ বছর করোনা পরিস্থিতিতে আয়ের অংকে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হয়, সেখান থেকে এখন রেলের আয় বাড়ছে বিদ্যুত গতিতে। আর এবার খড়গপুর (Kharagpur) রেল ডিভিশন তাক লাগিয়ে দিয়েছে সারা দেশকে।

   

রেলের আয়ের অংকের ঘাটতি পূরণ করতে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রয়োজনে ই-অকশন প্রক্রিয়া চালু করে রেল। আর সেখান থেকে রেলের আয়ের অংক দেখে চমক খেয়েছে খোদ রেল। ই-অকশন প্রক্রিয়া থেকে রেকর্ড আয় করেছে খড়গপুর রেল। রেলের তালিকা অনুযায়ী প্রথম স্থানে রয়েছে খড়গপুর ডিভিশন এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাল ডিভিশন আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই সেন্ট্রাল ডিভিশন।

নিলাম ব্যাবস্থা বহু আগেই শুরু করে রেল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত দিক বজায় রাখতে ই-নিলামে শুরু করে রেল মন্ত্রক। আর এবার তার সুফল পাচ্ছে তারা। খড়গপুর রেল ডিভিশন মোট ১১০ টি পরিসষেবার বরাত দিয়ে ই-অকশন ডেকেছিল রেল। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী আয় হয়েছে পার্সেল পরিষেবা থেকে। ১৩১ কোটি টাকা আয় করেছে এই একটি সার্ভিস থেকে।

এর সাথে পার্কিং পরিষেবা থেকে আয় ৩.৫ কোটি টাকা। বিজ্ঞাপন থেকে আয় ২.৩২ কোটি টাকা আর শৌচাগার পরিষেবার থেকে মোট ২ কোটি টাকা আয় করেছে রেল। করোনা পরবর্তী সময়ে খড়গপুর রেল ডিভিশনের এই আয় দেশে রেকর্ড বানিয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো যে, কীভাবে এল এই সাফল্য।

20181024151356399535
?

রেলের এই আয়ের ব্যাপারেও আলোকপাত করেছেন খড়গপুর ডিভিশনের রেল আধিকারিকরা। তারা জানিয়েছেন যে, এই আয় এসেছে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকেদার সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কারণে। সেই সাথে তাঁরা কী কাজ করছে, কীভাবে করছে সেই বিষয়টিও নজর দেয় রেল। সাথে ই-অকশন এর কারণে এই সাফল্য এসেছে রেলের। প্রসঙ্গত গত ৩ মাসে এই ই অকশন থেকে রেল আয় করেছে ৮৪৪ কোটি টাকা।