নিলাম করে বাম্পার কামাল রেল, তিন মাসে আয় ৮৪৪ কোটি টাকা

সময়টা বেশ ভালই যাচ্ছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways)। গত তিন মাসে রেলের আয় প্রায় ৮৪৪ কোটি টাকা। আসলে রেলওয়ে এই সময়ের মধ্যে নিজেদের বিভিন্ন সম্পদ ই-নিলামের (online auction) তুলে বাড়িয়েছে টাকার অংক। রেলওয়ে তার পার্কিং স্পেস, স্টেশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জায়গা, পার্সেল এবং টয়লেট লিজ দেওয়ার চুক্তি থেকে এই অর্থ উপার্জন করেছে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব 2022 সালের জুন মাসে বাণিজ্যিক আয়ের জন্য চালু করেছিলেন ই-নিলাম প্রকল্প। চুক্তি বরাদ্দের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাজ আরো সহজ করার লক্ষ্যে এই ই-পোর্টাল শুরু করা হয়। এখন তার ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে এই প্রকল্পটি একটি বিশেষ লাভজনক চুক্তি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

জানা যাচ্ছে যে, ই-নিলাম পোর্টালটি শুধুমাত্র রেলের সম্পদের প্রকৃত মূল্য পেতেই সাহায্য করেনি, সেই সাথে রেলের আয়ও অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। রেল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বাণিজ্যিক সম্পদের জন্য ই-নিলাম পোর্টাল চালু হওয়ার পর থেকে, গত তিন মাসে মোট 8,500টি সম্পদের জন্য প্রায় 1,200টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর সেখান থেকেই রেলের ভাঁড়ারে এসেছে মোট 844 কোটি টাকা।

রেল তাদের আয়ের পুরো খুঁটিনাটি জানিয়েছে দেশবাসীকে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে যে, বিজ্ঞাপন দেওয়ার বেশিরভাগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে স্টেশন চত্বরে। আর বাকি কয়েকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে ট্রেনের কোচের জন্য। সেখানে মোট 375টি চুক্তি থেকে আয় হয়েছে 155 কোটি টাকা।

এছাড়া 374টি পার্কিং স্থানের জন্য রেল পেয়েছে 226 কোটি টাকা, পার্সেল এলাকা ইজারার ক্ষেত্রে মোট 235টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আর সেখান থেকে 385 কোটি টাকা করেছে রেল। আর রয়েছে টয়লেটের পরিষেবা, সেখান থেকেও 78 কোটি টাকা গিয়েছে রেলের ভাঁড়ারে।

rail train

যদি কোনো জায়গা থেকে আয়ের কথা বলা হয় তাহলে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে বেঙ্গালুরু ডিভিশন থেকে। সেখানে পার্সেল ইজারা দিয়ে রেল একদফায় পেয়েছে মোট 34.52 কোটি টাকা। ধীরে ধীরে সারা ভারতের আরো অনেক স্টেশন ই-পোর্টালে নথিবদ্ধ হয়েছে তাদের সম্পত্তি লিজে দেওয়ার জন্য।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button