দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫তম বর্ষে পা দিয়েছি আমরা। কিন্তু স্বাধীনতার এতদিন পরেও যে কাজ হয়নি, সেটাই করে দেখাল মোদী সরকার। আর এই কারণে ব্যাপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সোনা ব্যাবহারকারী দেশ। তবে এতদিন পর্যন্ত একটি বাধা থাকায় সোনার জন্য বেশি টাকা দিতে হয়েছে জনগণকে। এবার মোদী সরকার হঠিয়ে দিল সেই আইন।
এতদিন পর্যন্ত সোনা আমদানির পুরো প্রক্রিয়া ছিল ব্যাংকের দখলে। যে কারণে আমদানি ব্যাপক ব্যয়বহুল হয়ে পড়তো। কিন্তু এবার সেই নিয়ম উঠে যাওয়ায় জনগণের জন্য দারুণ সুখবর হতে চলেছে তা। প্রায় ৪,০০০ টাকা কমে যাচ্ছে সোনার দাম! মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে দেশের জনগণ।
এবার দেশে শুরু হয়েছে প্রথম বুলিয়ন এক্সচেঞ্জ। সোনা কিনতে হলে জুয়েলার্সরা এই এক্সচেঞ্জ থেকে সরাসরি সোনা কিনতে পারেন। এক্সচেঞ্জের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল আপনি এখানে সোনা কেনার সাথে সাথেই এর ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। আর এই সুবিধার কারণে দেশের বহু জুয়েলার্স এই প্রক্রিয়ার সদস্য হয়েছেন।
মাত্র ১ সপ্তাহেই সোনা কেনাবেচার নিয়মে বিরাট পরিবর্তন করেছে বুলিয়ান এক্সচেঞ্জ। দেশের তো বটেই সারা বিশ্বের বড় বড় সমস্ত জুয়েলার্সরা এই প্ল্যাটফর্মের সদস্য হচ্ছেন। কিন্তু সেখানে কীভাবে সস্তায় সোনা পাবে সাধারন মানুষ? জানা যাচ্ছে যে, যদি এই এক্সচেঞ্জ থেকে বছরে ১০০ টন সোনা কেনা হয়, তাহলে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার বা ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে মানুষের। এছাড়া প্রতি কিলো সোনায় সোনার দাম কমে যাবে ৪,০০০ টাকা! তবে দাম যে আরো কমতে পারে সেই ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
তবে মানুষ কীভাবে সস্তায় পাবে সোনা? অনেকের মনেই এই কৌতূহল জেগেছে। দাম কমলেও সাধারণ মানুষ কী সেই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ? আসলে এতবছর অবধি সোনার দাম নির্ধারণের জন্য কোনো পদ্ধতি থাকেনি। সোনার চাহিদা এবং অন্যান্য কিছু ব্যাপার দেখে দাম নির্ধারণ করা হতো সোনার।
তবে এবার আর সেটি হবেনা। আগে থেকেই জানা যাবে সোনার দোকানের লোকরা কী দামে সোনা কিনছেন। ফলে আর নিজেদের ইচ্ছেমত দামের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন না স্বর্ণকাররা। এছাড়া এই পদক্ষেপের ফলে এবার ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও কিছুটা স্বস্তি পাবে।