বায়ুসেনার ইতিহাসে প্রথমবার একসঙ্গে ফাইটার জেট ওড়ালেন বাবা-মেয়ে! কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা ভারত

‘বাপ কা বেটা’ তো এতদিন সবাই শুনেছি, কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) এয়ার কমোডর সঞ্জয় শর্মার মেয়ে অনন্য শর্মা প্রমাণ করে দিলেন যে, ‘বাপ কি বেটি’ ও কিছু কম জাননা! বাবা মেয়ে একসাথে যুদ্ধ বিমানের সওয়ারি করে এদিন ইতিহাস তৈরী করলেন। ভারতীয় বিমাবাহিনীর কাছে বহু রেকর্ড থাকলেও এদিন যে রেকর্ড তারা দুজনে তৈরি করেছেন তা আগে কখনো দেখা যায়নি। এই গল্প আসলে এয়ার কমোডর সঞ্জয় শর্মা এবং তার মেয়ে অনন্য শর্মার কাহিনী।
জানা যাচ্ছে গত ৩০মে ফ্লাইং অফিসার অনন্যা শর্মা এবং এয়ার কমোডর সঞ্জয় শর্মা বায়ুসেনার Hawk-132 বিমানে একসাথে সওয়ারি করেছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে এক বিরল নজির তৈরি করেছেন তারা। বায়ুসেনার কর্ণাটকের একটি ঘাঁটি থেকে এই বিমান পাড়ি জমায়। বায়ুসেনার তরফ থেকে এই খবর জানানোর সাথে সাথেই কমোডর সঞ্জয় শর্মা এবং তার মেয়ে অনন্যা শর্মার ছবি ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে।
জ্ঞান হওয়ায় পর থেকেই অনন্য শর্মা তার বাবাকে বায়ুসেনার একজন দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসেবে দেখেছিলেন। আর এই পরিবেশের মধ্যে বড় হওয়ায় কখন যে অনন্যার মাথায় বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ঢুকে যায় তা হয়তো তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি। ২০১৬ সালে বিমানবাহিনীতে প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট এর এন্ট্রি তার এই ইচ্ছেকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশনে তার বিটেক শেষ করার পর, অনন্যা ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফ্লাইং শাখায় প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।
গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি ফাইটার পাইলট এর একজন কমিশনড অফিসার রূপে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। অনন্যার বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তার বাবাও তাকে উৎসাহিত করতে থাকেন। আর ২০১৬ সালে ৩ জন মহিলা ফাইটার পাইলট প্রথমবারের জন্য বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ায় অনন্যা নিজের ইচ্ছে পূরণের স্বপ্নে আরো এক কদম এগিয়ে যান। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে, ১৯৯১ সাল থেকেই বিমান বাহিনীতে হেলিকপ্টার এবং পরিবহন শাখাতে মেয়েদের এন্ট্রি থাকলেও ২০১৬ সাল থেকে তারা ফাইটার পাইলট পদে আবেদন করতে পারেন।