ঋণ তো মিললই না, এবার আর্থিক দুর্দশার মধ্যে আরও বড় ঝটকা কাঙাল পাকিস্তানে!

পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত অবনতির দিকে। বর্তমানে এমন হয়েছে যে, দুরাবস্থার সাথে সমার্থক হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও তথৈবচ। ভারতকে (India) ঘৃণা করে যে দেশ গড়ে ওঠেছিল তাদের বর্তমান অবস্থা ইরাক অথবা সিরিয়ার থেকে অন্যকিছু নয়! সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান বর্তমানে দেউলিয়া ঘোষণা করার একদম কোণায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এদিকে এতদিন যারা বাঁচিয়ে আসছিল সেই প্রত্যেকটি দেশই হাত তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের ওপর থেকে। দেশের মোট ঋণ রয়েছে ৬০ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। যা কিনা সেদেশের GDP এর ৮৯%। এর মধ্যে ৩৫% ঋণ এসেছে চিনের তরফে। চিনের কাছে মোট ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে পাকিস্তানের। এমন অবস্থায় দেউলিয়া ঘোষণা করলে বড়সড় ক্ষতি হবে চিনের।

পাকিস্তানকে আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে সেদেশের সেনাবাহিনী, সন্ত্রাসবাদী এবং রাজনীতিবিদরা। সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে তারা পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। এদিকে প্রতিনিয়ত দুঃসংবাদ আসছে পাকিস্তানি জনগণের জন্য। মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতির কারণে সাধারণ পাকিস্তানি মানুষ খাবার পর্যন্ত খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। এদিকে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দিতেও প্রস্তুত নয় কেও।

এমতাবস্থায় গৃহযুদ্ধের একদম কিনারায় পৌঁছে গিয়েছে দেশটি। দেউলিয়া দাগ হাটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। এমনকি IMF এর শর্ত মেনে সেদেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০%, বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে বেড়েছে ৮ টাকা, ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। কিন্ত সমস্যার বিষয় এই যে, দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছাড়িয়ে গেছে ২৭%!

ap22256426310790

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সামনে অন্য ঋণখেলাপিদের করুণা ছাড়া আর কোনো আশাই নেই। এর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীন থেকে পাকিস্তানকে মোট সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিরা আর বিশ্বাস করছেননা দেশটিকে। পাকিস্তান থেকে পালাতে শুরু করেছেন সমস্ত ধনী ব্যক্তি। দিন দিন বাড়ছে সেই সংখ্যা। গতবছর ৮৩২,৩৩৯ জন দেশ ছেড়েছেন আর এবছর সেইসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০০%।

67ccc951199fe646dd562210c88dea6e xl

দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য মোট ১৭০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে শেহবাজ শরীফ সরকার। আর সেইজন্য আমজনতার ওপর ১১৫ বিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স লাগু করা হয়েছে। বিশেষ করে বিলাসবহুল পণ্যের ওপর ২৪% ট্যাক্স , সিগারেটের মতো পণ্যের উপর ১৫৩% ট্যাক্স এবং কোল্ড ড্রিংকের ওপর ২০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। যদিও এতকিছুর পরেও সংকট অবস্থা থেকে বেরোনোর কোনো আশাই নেই। এর মধ্যে ধনী ব্যাক্তিরা দেশ ছাড়লে পাকিস্তানের অবস্থা আরোই খারাপ হয়ে যাবে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button