দুর্গাপুজোয় সপ্তমীতেই নামবে বৃষ্টি, সঙ্গে চলবে দমকা হাওয়া! বড় আপডেট দিলো আবহাওয়া দপ্তর

১ বছর পর আবারো উমা ফিরছেন বাপের বাড়িতে। সমস্ত দুঃখ কষ্ট মুছে গিয়ে বাঙালি মেতে উঠবে অনাবিল আনন্দে। মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের বিনাশ করে শুরু মাতৃপক্ষের। এবার আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠবে সারা বাংলা। কিন্তু এই এত সাজ সরঞ্জাম, এত আনন্দ সব কিছুকে যেন মাটি করে দিতে চলেছে বৃষ্টি।
দীর্ঘ ২ বছর সময় লেগেছে করোনা অসুরের বধ করতে। অবশেষে সে অসুর বধ হলো তো বরুণদেবের বর্ষণে আর ইন্দ্রদেবের বজ্রের গর্জনে মাটি হতে বসেছে মা গৌরীর পুজো। অন্তত হওয়া অফিসের তো তেমনই মত। পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে যে, আসন্ন দুর্গাপুজো ভণ্ডুল করে দিতে পারে অসময়ের বৃষ্টি। জানা যাচ্ছে ষষ্ঠীর পর থেকেই নাকি আকাশ ঢাকতে পারে কালো মেঘে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন যে, সপ্তমীর সকাল থেকেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে ঘূর্ণাবর্ত ঢুকতে পারে বঙ্গোপসাগরে। আর এরপর অষ্টমীর বিকেলে আছড়ে পড়তে পারে নিম্নচাপ হিসেবে। ঘূর্ণাবর্তের আসন্ন পথ হতে পারে বাংলাদেশ অথবা উড়িষ্যা। ফলে পুজোর সময় দূর্যোগের কালো মেঘে ঢাকতে পারে আকাশ।
এক বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা এই সম্পর্কে জানান যে, ঘূর্ণাবর্তটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার গভীর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই ঘূর্ণাবর্ত কোন পথ দিয়ে প্রবেশ করবে তার ওপর নির্ভর করবে বঙ্গে বিশেষত দক্ষিণ বঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ। তিনি আরো জানান যে, যদি উড়িষ্যার পথ হয়ে এই ঘূর্ণাবর্ত আসে তাহলে মহাসপ্তমী এবং মহা অষ্টমীর দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের ভূভাগ দিয়ে প্রবেশ করলে পুজোর আনন্দ একেবারেই মাটি হতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ হয়ে প্রবেশ করলে সপ্তমী অষ্টমী জুড়ে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। দমকা হাওয়া বইতে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্যান্ডেল। তাছাড়া নবমী দশমীতেও বৃষ্টি বেশ ভালই হতে পারে। তবে আশার ব্যাপার এই যে, এই ঘূর্ণাবর্ত খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা নেই।
আসলে দক্ষিণ চিন সাগরে আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্তটি বেশ কিছু জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায় বিপদসংকেত বয়ে নিয়ে আসা এই ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসার সময় আর শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেনা সেটি। প্রসঙ্গত, পূজার আগে অবধি আবহাওয়া মনোরম থাকবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।