চিনের ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে দেশ! পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হতে পারে ভারতের এই প্রতিবেশীর

বর্তমানে আমরা সবাই শ্রীলংকার (Sri Lanka) অবস্থা জানি। পাকিস্তানের (Pakistan) অবস্থা হয়েছে শ্রীলংকার থেকেও খারাপ! এবার এই তালিকায় নবতম সংযোজন হতে চলেছে ভারতের (India) আরেক পড়শী দেশ নেপাল (Nepal)। চিনের ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে শ্রীলংকা এবং পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতে পারে নেপাল।
জানিয়ে রাখি নেপালের পোখারায় বিমান দুর্ঘটনা ঘটায় সেখানে ৭২ জনের সবাই নিহত হয়েছেন। এই বিমানবন্দরটি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ উদ্যোগের অধীনে চীনের সহায়তায় নির্মাণ হয়। এদিকে এই বিমানবন্দরের তহবিল নিয়েও বিরাট বিভ্রান্তি তৈরী হয়ছে। সেইনিয়েও এক মস্ত বড় স্ক্যাম প্রকাশ্যে আসতে চলছে।
চিন যে দেশগুলোকে ঋণের চক্করে ফেলে তাদের কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছে এ কোনো নতুন বিষয় না। কিন্তু তারপরও অনেক দেশ এই ফাঁদে পা দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো প্রকল্পগুলিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে ঋণ দিয়ে তাদের ঋণের ফাঁদে ফেলছে লাল চিন। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও, নেপালে ভৈরহাওয়ার গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাজধানী কাঠমান্ডুর চোভার শুকনো বন্দরও চিনই বানিয়েছে।
এদিকে এসব ব্যয়বহুল প্রকল্পের কোনোটিই সেভাবে কাজ করছে না। যদি কোনো প্রকল্পের ব্যবসায়িক কৌশল কার্যকর না হয় অথবা সেরকম প্রস্তুতি ছাড়াই তৈরী হয়ে যায়, তাহলে সেটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা পাঠায়। এদিকে নেপালে বিনিয়োগের জন্য বড় অংকের অর্থরাশির প্রয়োজন। কিন্তু এমন সময়ে দেশের জন্য ঋণ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হতে পারে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য নেপাল সরকারকে অভ্যন্তরীণ ঋণ হিসাবে সর্বাধিক ২ বিলিয়ন ডলার অথবা ২৫৬ বিলিয়ন নেপালি রুপি সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শ্রীলংকার অবস্থা দেখার পর থেকে চিন থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে খুবই সতর্ক নেপালি কর্মকর্তারা। বর্তমানে নেপাল সরকার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ উদ্যোগের আওতায় প্রকল্পের জন্য চিনের কাছে ঋণের পরিবর্তে অনুদানের অনুরোধ করছেন।