শুরু হওয়ার দু’মাসের মধ্যেই বড়সড় গলদ! পদ্মা সেতু নিয়ে চরম চিন্তায় বাংলাদেশ

সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) তাদের দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু (Padma Multipurpose Bridge) তৈরি করে বেশ আলোড়ন ফেলেছে। বাংলাদেশের সবেধন নীলমণি পদ্মাসেতু নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই বাংলাদেশীদের মধ্যে। অপরদিকে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিমি দীর্ঘ রেলপথ বানানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ।

   

যখন পদ্মাসেতু পরিকল্পনা করা হয় তখন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে, যানবাহন চলাচলের সাথে সাথে রেল সংযোগও শুরু হবে। তবে পরবর্তীকালে নানান ধরনের সমস্যার কারণে স্থগিত রাখা হয় এই সিদ্ধান্ত। রেলপথের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশটি চালু করা হবে ২০২২ জুনের মধ্যে।

গোটা রেলপথটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে এই রেলপথটির। তবে ঢাকা-মাওয়া এবং জাজিরা-ভাঙ্গা রেললাইন সম্পর্কে রেলমন্ত্রীর তরফ থেকে যে বিবৃতি এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে এই লাইনটির কাজ।

কিন্তু এবার সেই সেতু নিয়েই সামনে এসেছে এক নয়া তথ্য। ধরা পড়েছে এক বেশ বড়সড় ত্রুটি। এমনকি এইজন্য ব্যাহত হতে পারে যান চলাচল। জানা যাচ্ছে সেতুর নকশা পরিবর্তন করতে হতে পারে। এর আগে যে নকশা তৈরি হয়েছিল তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি বাংলাদেশ সরকারের। তাই শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা।

মিডিয়া রিপোর্টে থেকে জানা যাচ্ছে যে, সেতুর ওপর যে লাইনের স্প্যান বসানো হয়েছে সেখানে ২,৯৫৯ টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এই স্ল্যাবগুলোর উচ্চতা রেললাইনের স্ল্যাবের জন্য যে ডিজাইন করা হয় তার চেয়ে অনেকটাই বেশি। আর সেইজন্যই যত সমস্যার সূত্রপাত। উচ্চতা বেশী হওয়ার কারণে রেল যাতায়াতের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

padma bridge

এই ভুলের কারণে ভবিষ্যতে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরকার এবার খুব শীঘ্রই ওই পাত এবং স্ল্যাব সরিয়ে পুনঃনির্মাণ করবে। প্রসঙ্গত ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশ রেল এই রেলপথের নির্মাণকার্য শুরু করে। যদিও ত্রুটি ধরা পড়েছে তাও বাংলাদেশ সরকার আগামী ২০১৪ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প সম্পূর্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।