কলকাতাঃ ভোর ৫.৪০ মিনিটের বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ৪.৪০ মিনিট। তিনি পৌছোন ৫.১০-৫.১২ মিনিটে। আধ ঘণ্টা বাকি ছিল প্লেন ওড়ার জন্য। বিমান বন্দরে পৌঁছেও বিমান ধরতে পারলেননা ঋতুপর্ণা। সময়ের আগে থাকা ভালো, কিন্তু যে যাত্রী সময়ের আগে পৌঁছে গিয়েছে তাকে ফেলে চলে যাওয়ার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। এমনই বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী।
ঘটনাটি কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমান ধরাকে কেন্দ্রে করে ঘটেছে। আরবাজ খানের সঙ্গে ‘কাল ত্রিঘোরি’ ছবির শুটিং ছিল আমেদাবাদ থেকে আরও ঘণ্টা দুয়েক দূরত্বে। শুটিংয়ের সময় ছিল ১০ থেকে ১০.৩০ মিনিটে। সেই মত ভোর ৫.৪০ মিনিটের বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ৪.৪০ মিনিট। তিনি পৌছোন ৫.১০-৫.১২ মিনিটে। আধ ঘণ্টা বাকি ছিল প্লেন ওড়ার জন্য। কিন্তু এর জেরেই এদিন নায়িকাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি নায়িকার।
অভিনেত্রীর বক্তব্য থেকে জানা যায় মাত্র ৫০ পা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলো বিমান। বিমানে ওঠার সিঁড়িও খোলা হয়নি তখনও। ৪০ মিনিট ধরে বিমানবন্দরের কর্মীদের অনুরোধ করেও লাভ হয়নি।’ এমনকি অভিনেত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ওই বিমান সংস্থার কর্মীদের। বোর্ডিং পাস সব থাকা সত্বেও এমন ঘটনার শিকার হওয়ার পর মঙ্গলবার ফেসবুকে গোটা ঘটনা জানিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রী।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এমনই এক বিমান বিভ্রাট বদলে দিয়েছিলো সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের জীবন। তিনি তখনও অভিনয় জগতে পা রাখেননি। মডেলিংয়ে ব্যস্ত জীবন তখন। বেঙ্গালুরু থেকে মডেলিংয়ের জন্য ডাক আসে। তিনি মুম্বাই থেকে ভোর ‘ছ’টার টিকিট কাটেন, কিন্তু ভুলবশত তিনি সেটাকে সন্ধ্যা ‘ছ’ টা ভেবে বসেন। আর এতেই যত বিপত্তি। ভোরবেলা যখন বিমান সংস্থার কর্মীরা অক্ষয়কে ফোন করেন তখন তিনি গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে। অনুনয় বিনয় করলে তাকে শুনতে হয় কড়া কথা। এমনকি তাকে এও শুনতে হয় তার মতো অপেশাদার একজন মানুষ কখনোই সফল হতে পারবে না।
যাইহোক এই ঘটনাটিএক রকম শাপে বর হয়েই দাঁড়িয়েছিল অভিনেতার জন্য। সেদিনই মুম্বইয়ের নটরাজ স্টুডিওতে গিয়ে পরিচালক প্রমোদ চক্রবর্তীর সাথে দেখা করেন তিনি এবং ভাগ্যক্রমে সেদিনই তিন তিনটি ছবিতে নায়কের চরিত্রে সাইন করানো হয় তাকে। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে জীবনের এই মোড় ঘোরানো ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন অক্ষয়। বিমান সংস্থাকেও ধন্যবাদ দিয়েছিলেন তিনি। তাদের কাজ তারা করেছেন। কেনই বা তাঁর জন্য বিমান অপেক্ষা করবে? এমনটাই ব্যক্ত করেছিলেন অক্ষয়।