এক সাধারণ ঘরের ছেলে যিনি পুরো ভারতকে সস্তায় ওড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, বর্তমানে ৫০০০ কোটি টাকার মালিক

ধীরে ধীরে ভারতে বেড়েছে বিমানে ভ্রমন করা যাত্রীর সংখ্যা। আর যাত্রী বাড়ার সাথে সাথেই এসেছে নতুন অনেক সংস্থা। আর বিমানে ভ্রমণ করা লোকের সংখ্যা বাড়ার জন্য অনেকেই দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী মোদির ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট ‘উড়ান’ প্রকল্পকে। এই সময়ের মধ্যে এসেছে নতুন বিমনসংস্থা ইন্ডিগো, স্পাইসজেট ইত্যাদি। আমাদের আজকের প্রতিবেদন স্পাইসজেট (Spice Jet) কোম্পানি এবং তার প্রতিষ্ঠাতা অজয় সিংহের (Ajay Singh) সম্পর্কে।

   

স্পাইসজেট আজ ভারতীয় বিমানযাত্রী দের কাছে বেশ পরিচিত নাম। কিন্তু জানেন কি এই সংস্থা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা? দৈনিক ৬৩০ টিরও ফ্লাইট পরিচালনা করে রেকর্ড গড়েছে কোম্পানি। যদিও বেশিরভাগই ডোমেস্টিক সার্ভিস দেয়, অর্থাৎ ভারতের মধ্যেই চলাচল করে। কিন্তু তাতেও কোম্পানির তেমন ক্ষতি হয়না, কারন ভারত এক বিপুল বাজার।

কিভাবে স্থাপনা হয় এই সংস্থার?

১৯৮৪ সালে শুরু হয় স্পাইসজেটের যাত্রা শুরু। ভারতীয় শিল্পপতি এস কে মোদি ভারতে প্রথম প্রাইভেট এয়ার ট্যাক্সি চালু করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় এমজি এক্সপ্রেস। সেখানে তিনি হাত মেলান জার্মান সংস্থা লুফতহাংসার সাথে। একসাথে মিলে যাওয়ায় পর নাম রাখ হয় মোদিলুফত। যাত্রীর পাশাপশি কার্গো পরিষেবাও দিত এই সংস্থা।

স্পাইসজেট নাম হলো কিভাবে?

মোদিলুফত চলছিল ভালোই, কিন্তু ২০০৪ সালে অজয় সিং এই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন এবং এর নামকরণ করেন স্পাইসজেট। আগে টিকিটের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারন মানুষ শুধু কল্পনাই করতে পারত বিমানে চড়ার, কিন্তু অজয় সিংহ টিকিটের দাম অনেকখানি কমিয়ে দিলে সহজেই ভারতীয়রা চড়তে শুরু করে এই প্লেনে। আর দ্রুত বাড়তে থাকে কোম্পানির ব্যবসা।

বর্তমান মালিক কে এই সংস্থার?

কোম্পানির ক্ষেত্রে মালিক বলতে বোঝায় যার কাছে কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ার থাকবে তিনিই মালিক। তিনিই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির অধিকাংশ মালিকানা রয়েছে অজয় সিংহের হাতে। আসলে তিনিই ২০০৪ সালে শুরু করেন এই সংস্থার। আজও সেখানে নিজের স্থান অক্ষুন্ন রেখেছেন তিনি।