ব্রেন স্ট্রোক না ক্যান্সার? কী কারণে প্রাণ হারালো ফাইটার ঐন্দ্রিলা! প্রকাশ্যে এল তথ্য

কর্কট রোগের মতো মারণব্যাধিকে হারিয়ে ফিরে আসনে ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma)। কিন্তু শেষমেষ ব্রেন স্ট্রোকের কাছে হারলেন ফাইটার। ২৪ বছর বয়সেই থেমে গেল তার জীবন আজ দু’দিন হয়ে গেল তিনি নেই। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় কেও বিশ্বাসই করতে পারছে না যে, তিনি চলে গিয়েছেন।

আগেও একবার RIP ঐন্দ্রিলা ঢল নেমেছিল ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু সেবার মিথ্যে হলেও ২০ নভেম্বর দুপুরের ঘটনাটা সত্যিই হলো। অনেকেই প্রার্থনা করেন যেন এটা মিথ্যে হয়, কিন্ত নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। সবাইকে কাঁদিয়ে দূরে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা।

ঐন্দ্রিলা গত হতেই আকবর মনে প্রশ্ন উঠেছে যে, কিভাবে দু’বার কর্কট রোগকে হারিয়েও ব্রেন স্ট্রোকের কাছে বশ্যতা স্বীকার করলেন। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সুস্থ এবং স্বাভাবিক হতে হতে কিভাবে এমন অঘটন ঘটেছে? চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোথাও কি কোনো গাফিলতি রয়ে গেছিল তাহলে?

১লা নভেম্বর ব্রেনস্ট্রোকের পর চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি করে তার মাথায় দ্রুত অস্ত্রপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। অবস্থা এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যায়। জানা যায় তার মাথার বাঁ দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। এরপর আরো একবার অপারেশন হয় তার। কিন্তু বায়োপসি রিপোর্টে কোনো ভালো খবর আসেনি।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এরপর দেখা যায় ইউইংয়ের সারকোমা থেকে মাথার মেটাস্টেস হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এরপর নিউরোলজিস্ট, নিউরোসার্জেন, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, রেডিওলজিস্ট, মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট ও রেডিয়েশন অঙ্কোলজিস্টকে নিয়ে একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর ১০ দিনের মধ্যেই নাকি মাথার দুদিকেই পরপর দু-বার ব্রেইন স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার।

aindrila sharma nov16

উপস্থিত চিকিৎসকরা ধরে নেন যে, ম্যালিগনেন্সের কারণেই স্ট্রোক হচ্ছে তার তাই বাড়িয়ে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনের মাত্রা। কিন্তু এরপর আরো গভীরে চলে যান তিনি। একের পর এক হার্ট অ্যাটাক এবং তারপর ব্লাড প্রেসার বাড়তে থাকে তার। সমস্ত রোগ একসাথে নাগপাশে মুড়ে ফেলেছিল তাকে। এরপর অনেক চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। অবশেষে রবিবার সকলকে কাঁদিয়ে দুপুর ১২:৫৯ এ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।