ফের প্রসেনজিতের সঙ্গে ছবি শেয়ার শ্রীলেখার, বললেন ‘রাগ-অভিমান এখন আর নেই”

শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) যেন সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেঁচে থাকেন। নিজের জীবনকে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে কীভাবে তুলে দিতে হয় সেটা তার থেকে ভালো বোধহয় কেউই জানেনা। এইতো কয়েকদিন আগের কথা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) সাথে কিছু পুরনো ছবি শেয়ার করেছিলেন সেখানে। কিন্তু আবারো প্রসেনজিৎ এর সাথে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
না এই ছবি তার আর প্রসেনজিৎ এর সিনেমা অন্নদাতার নয়, এটা ২০০৭ সালে NABC তে তোলা হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রথম সারিতে বসে রয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, শ্রীলেখা মিত্র, যিশু সেনগুপ্ত এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি পোস্ট করেছেন ঠিকই কিন্তু ক্যাপশন দিতে বলেছেন নিজের অনুরাগীদের।
এদিকে নেট দুনিয়ার অনেকে অবাক হয়েছেন যে, যেখানে শ্রীলেখা মিত্র প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন, সেখানে এখন কিনা শ্রীলেখার ফেসবুক প্রোফাইলে পরপর সেই প্রসেনজিৎ এরই ছবি! বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। তবে অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দেন যে, প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর ঠিক কতটা ‘পেয়ার’ ছিল সেটা বোঝানোর জন্য তিনি ছবিগুলো শেয়ার করেননি, এমনকি তিনি পরপর ছবি দিয়ে কিছু প্রমাণ করতে চানও না।
আসলে রাজা সেনগুপ্ত নামের এক অনুরাগী তাকে এই ছবিগুলো পাঠিয়েছিল। অনেকেই জানতেন না যে, তিনি এনএবিসিতে গিয়েছিলেন তাই নাকি ছবি শেয়ার করেন। তবে শ্রীলেখা এও বলেন যে, প্রসেনজিৎ তাঁর থেকে অনেক সিনিয়র। তাই তার সাথে দেখা হলে প্রশ্ন করবেন যে, তাঁর এই রাগ, অভিমান কোথায় ভুল?
সাথে এও স্পষ্ট করে দেন যে, আজ যদি এমন কোনো ছবির অফার আসে যেখানে তার চরিত্র আর চিত্রনাট্য বেশ ভালো, তাহলে প্রসেনজিৎ অভিনয় করলেও তিনি হ্যাঁ বলবেন। তার তো কোনো সমস্যাই নেই প্রসেনজিতের সাথে অভিনয় করতে। বরঞ্চ তার উপেক্ষার জন্যই যত অভিমান শ্রীলেখা মিত্রর।
এখন সারাভারতেই নেপটিজম নিয়ে অনেক কথা হলেও টলিউডে শ্রীলেখা মিত্রই এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন। এক ইউটিউব ভিডিওতে তার বক্তব্য ছিল , “ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা কোনও কিছুর বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেন। আমার সেই কোনও গডফাদার ছিল না। সেসময় প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস দা রাই ইন্ডাস্ট্রি চালাত। কিন্তু বুম্বাদা ছিলেন নাম্বার ওয়ান। সেসময় আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নায়িকার চরিত্র দেওয়া হত না। কারণ তখন ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রসেনজিতের প্রেম চলছে।” সেই বিস্ফোরক বয়ানের পর থেকেই অনেকে শ্রীলেখা মিত্র প্রসেনজিৎ বিরোধী ট্যাগ পেয়ে যান।