খাস কলকাতায় ১১ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! CBI-র নিশানায় প্রাক্তন মন্ত্রী

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ জালিয়াতি, কারচুপির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। একেরপর এক আর্থিক তছরুপের ঘটনা উঠে এসেছে। নিকট অতীতে সারদা, নারদা, সিন্ডিকেট রাজের মতো আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। আবার সদ্যই শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কারণে জেলে গিয়েছেন শাসকদলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা পার্থ চ্যাটার্জি এবং তার ‘বিশেষ’ বান্ধবী অর্পিতা।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তাতে ক্ষোভের মধ্যে রয়েছে সারা রাজ্য। শাসকদলের উচ্চপদস্থ নেতা সহ অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি গারদের ওপরে গিয়েছেন। গরুপাচার, বালি পাচার ইত্যাদির মতো কেসে নাম এসেছে বীরভূমের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। আর এবার কলকাতাতে (Kolkata) একটি ব্যাংক প্রতারণার (bank fraud) মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্যের।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI) এর তদন্তে উঠে এসেছে প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম। কলকাতার ব্যাংকে আর্থিক কারচুপির অংক ১১ হাজার কোটি টাকা! প্রাক্তন মন্ত্রী ছাড়াও সেখানে যে জালিয়াতরা রয়েছেন তাদের নাম রয়েছে কয়লাখনি বণ্টনে অনিয়মের মামলাতেও। প্রসঙ্গত ব্যাংক প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্তরা সি পাওয়ার লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রমোটর এবং ডিরেক্টর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে CBI জানিয়েছে যে, এই ‘সি পাওয়ার লিমিটেড’ সংস্থাটি একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় ১০ বছর আগে। মোট ৪০৩৮ কোটি টাকার ঋণ নেয় তারা। এদিকে এই ঋণ মঞ্জুর করে ২০ টি ব্যাংকের একটি কনসোর্টিয়াম। আর এই কনর্সোটিয়ামে মুখ্য ব্যাংক ছিল ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। বস্তত এই ব্যাংক থেকেই বেশিরভাগ অর্থ মঞ্জুর করা হয়।
বর্তমানে সেই ঋণ সুদে আসলে মিলিয়ে মোট ১১ হাজার কোটি টাকাতে দাঁড়িয়েছে। বারবার ব্যাংকগুলোর তরফে ঋণ মেটানোর কথা বলা হলেও কোম্পানি সেই ঋণ মেটেনি। সবশেষে ব্যাংকগুলোর কনসর্টিয়াম বিষয়টি জানায় CBI কে। তদন্ত শুরু হতেই আটক হন বেসরকারি কোম্পানিটির প্রমোটার, ডিরেক্টর সহ আরো কয়েকজন।
এদিকে বিশেষ ব্যাপার এই যে, এদের মধ্যে দুজন এমন রয়েছেন যাদের এর আগেও অন্য একটি ব্যাংকের সাথে প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করে CBI। যদিও জামিনে মুক্তি পায় তারা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে CBI।