৫০-৮০ কিমি বেগে ঝড়, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বিধ্বংসী রূপ! ভয়ঙ্কর হবে আবহাওয়া

এখনই বাংলার আকাশ থেকে সরছে না দুর্যোগের কালো মেঘ। আজ রবিবার ছুটির দিনেও বাংলাজুড়ে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিগত দুদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের । কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। সেইসঙ্গে কলকাতা সহ রাজ্যের বহু জায়গায় বিকেলের পর বৃষ্টি তো পড়ছেই। সেইসঙ্গে দোসর হয়েছে ঝোড়ো দমকা হাওয়া।

কিন্তু আজ সারাদিন বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে? কী বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস? জানা যাচ্ছে, আজও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড় সহ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া হুগলি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বজ্রপাতের সতর্কতা অবধি জারি করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

   

৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার কোথাও কোথাও ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বা তারও বেশি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। রয়েছে শিলাবৃষ্টির সতর্কতাও। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া ও বর্ধমানের অধিকাংশ অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা।

শুধুমাত্র তাই নয়, আজ থেকেই বাংলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে দফায় দফায় বাংলার আবহাওয়ার এমন দফারফা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুটি অক্ষরেখা রয়েছে একটি ওড়িশা থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত। এছাড়া ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে রয়েছে এই অক্ষরেখা ।

এছাড়া আরও একটি অক্ষরেখা পশ্চিমে মারাঠাওয়াড়া থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে বুধবার ২০ মার্চ। ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ওড়িশা, কর্ণাটক এবং আসামে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর