সুন্দরবন যাওয়ার আগে হয়ে যান সাবধান! বিপাকে বহু পর্যটক, না জানলে মাথায় পড়বে বাজ

বছরের শুরুতেই সুন্দরবন (Sundarbans) যাওয়াই যেন কাল হলো। এমনটা যে হবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পর্যটকরা (Tourists)। এমনিতে শীতের মরসুম পড়ে গিয়েছে। তার ওপর নতুন বছরের আনন্দ… সকলেই চাইছেন কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতে। আর এই শীতের মরসুমে সুন্দরবন যেতে চান অনেকেই। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ।

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, জল, ম্যানগ্রোভ দেখতে লঞ্চে করে বেরিয়ে পড়েছিলেন পর্যটকরা কিন্তু মাঝপথে গিয়েই জানো ঘটল চরম বিপত্তি! এরকম যে হতে পারে তা হয়তো কেউ আশাও করেননি। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণে অসংখ্য নৌকা, লঞ্চের মালিক ম্যানগ্রোভ বনে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকায় বছরের প্রথম দিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করা পর্যটকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

   

জেলা পরিষদ কর্তৃক শতাধিক নৌকা ও লঞ্চের লাইসেন্স বাতিলের ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর সুন্দরবনে চলাচলকারী নৌকা ও লঞ্চের জন্য জেলা পরিষদ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান করা হয়। তবে এ বছর বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। বর্তমানে সুন্দরবনে বন্ধ রাখা হয়েছে জলযান ব্যবস্থা। ফলে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন সুন্দরবনের পাখিরালয়-সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে।

জানা যাচ্ছে, সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফ থেকে সোমবার সকাল থেকে সমস্ত জলযান বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পাওয়ার দাবিতে।  এদিকে এহেন ও পরিস্থিতিতে মাথায় এক প্রকার বাজ ভেঙে পড়েছে সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের মাথায়।

sundarban boat

বেশিরভাগ নৌকার মালিকরা বন অফিসের জরিমানার ভয়ে যথাযথ ডকুমেন্টেশন ছাড়াই জঙ্গলে যেতে দ্বিধাবোধ করেন। সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম সরদার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মোটা অঙ্কের জরিমানার কারণে কারো পক্ষে জঙ্গলে প্রবেশ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক নৌকা ঘাটে আটকে আছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নৌকা ও লঞ্চের মালিকরা সময়মতো লাইসেন্স রিনিউয়ের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ডিসেম্বরে রিনিউয়ালের আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে কম উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে ছুটির মরসুমের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, ২ জানুয়ারি থেকে লাইসেন্সের আবেদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারপার্সন নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল আশ্বস্ত করে বলেন, “যাঁরা সময়সীমা মিস করেছেন, তাঁরা অফিস খোলার পরেও আবেদন করতে পারবেন এবং লাইসেন্স নিতে পারবেন। এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করার ব্যাপার”। তবে পর্যটকরা এসবের মাঝখানে আটকা পড়েছেন।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর