দিন শেষ Google Pay-র! এবার ভারতে চলবে টাটার UPI পেমেন্ট সিস্টেম, মিলল RBI-র অনুমতি

বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই ভারত (India) যেন ডিজিটাল (Digital) হয়ে যাচ্ছে। বলা ভালো, এখন ডিজিটাল যুগ। আর এই যুগের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল পেমেন্ট পরিষেবা। আগে মানুষ হয়তো ভাবতেও পারত না যে মাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনও জায়গায় টাকা পে করা যাবে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই অসাধ্য ব্যাপারটিও হচ্ছে। এখন মানুষের পকেটে ১০, ২০ টাকা থাকলেও চিন্তা থাকে না, বড় পেমেন্টের জন্য যে কোনও অ্যাপই যথেষ্ট। যেমন এখন বেশিরভাগ সব মানুষের কাছেই  Google Pay, Phone Pay, Paytm আছে। ফলে এখন মাত্র এক ক্লিকেই যে কোনও জায়গায় পেমেন্ট করা যায়।

   

এবার Google Pay, Phone Pay, Paytm-কে টেক্কা দিতে জোরদার পদক্ষেপ নিতে চলেছে টাটা (Tata Group)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই টাটা গ্রুপ এখন অনলাইন পেমেন্টের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চলেছে। বড় কথা হল টাটা পে ১ জানুয়ারি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) কাছ থেকে অ্যাগ্রিগেটর লাইসেন্সও পেয়ে গিয়েছে।

অর্থাৎ এখন প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্স লেনদেন করতে পারবে। Tata Pay কোম্পানির ডিজিটাল ইউনিট টাটা ডিজিটালের অংশ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল ব্যবসা করে থাকে। ২০২২ সালে টাটা গ্রুপ তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। এখনও পর্যন্ত সংস্থাটি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সাথে অংশীদারিত্বে ইউপিআই (Unified Payments Interface) পেমেন্ট করছিল। সেই সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়ে নতুন কৌশলও তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

tata

এটি টাটা গ্রুপের দ্বিতীয় পেমেন্ট ব্যবসা, যা সংস্থাটি ব্যবহার করবে। গ্রামীণ ভারতে ‘হোয়াইট লেবেল এটিএম’ চালানোর লাইসেন্সও রয়েছে তাতার কাছে। কোম্পানির এই ব্যবসার নাম Indicash। আরবিআইয়ের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টাটা এর আগে প্রিপেইড পেমেন্ট ব্যবসাতেও (মোবাইল ওয়ালেট) হাত পাকিয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। এরপর ২০১৮ সালে লাইসেন্স সমর্পণ করে প্রতিষ্ঠানটি। ডিজিটাল পেমেন্ট স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর লাইটের মাধ্যমে টাটা সাবসিডিয়ারি সংস্থাগুলির সাথে সমস্ত ই-কমার্স লেনদেন করতে পারে এবং এটি ফান্ড পরিচালনায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।“

রেজারপে, ক্যাশফ্রি, গুগল পে এবং অন্যান্য সংস্থার মতো টাটা পেও দীর্ঘ অপেক্ষার পরে লাইসেন্স পেয়েছে। পিএ লাইসেন্সের সাহায্যে সংস্থাটি অনলাইন লেনদেনের অনুমতি পায়। এর পাশাপাশি, সংস্থাটি তহবিল পরিচালনা করারও অনুমতি দেয়। টাটা পে ছাড়াও বেঙ্গালুরুর ডিজিও ১ জানুয়ারি লাইসেন্স পেয়েছে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর