সচিনের ১০০ শতরান দূর, এই ক্রিকেটার করেছেন ১৯৯ সেঞ্চুরি! নাম মনে রাখেনি কেউ

বলা হয় রেকর্ড ভাঙার জন্য একদিন তৈরি করা হয়। কিন্তু ক্রিকেটে (Cricket) এমন অনেক রেকর্ড আছে যা বছরের পর বছর ধরে অটুট রয়েছে। এবং অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্ত রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা কম। এর মধ্যে অন্যতম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একটি রেকর্ড। বছরের পর বছর ধরে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে এই রেকর্ডটি।

আসলে এই রেকর্ডটি সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ১০০ সেঞ্চুরি করার বিশ্বরেকর্ড শচীন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) দখলে থাকলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার নিরিখে শচীন আছেন ৪২ নম্বরে। এই তালিকার শীর্ষে থাকা খেলোয়াড়ের নাম ইংল্যান্ডের জ্যাক হবস।

   

jack hobbs

ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটসম্যান জ্যাক হবস তাঁর ৪ দশকের ক্রিকেট কেরিয়ারে মোট ৮৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এই সময়ে তিনি সবচেয়ে বেশি ১৯৯টি সেঞ্চুরি ও ২৭৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো ব্যাটসম্যানের বিশ্বরেকর্ড। এ সময়ে ৫০.৭০ গড়ে ৬১৭৬০ রান তুলেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫ জন ব্যাটসম্যান ১০০ বা তার বেশি সেঞ্চুরি করেছেন। এই তালিকায় শচীন তেন্ডুলকারের চেয়ে এগিয়ে আছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০৮টি সেঞ্চুরি করেছেন জাহির।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮১টি সেঞ্চুরি রয়েছে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের নামে। হাফ সেঞ্চুরির নিরিখে সেঞ্চুরি করেছেন শচীন। ১১৬টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির নিরিখে শচীন আছেন ৪২ নম্বরে। ৩১০টি ম্যাচে এই সেঞ্চুরি করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। শচীনের পাশাপাশি ৮২টি সেঞ্চুরি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের নামের পাশে। ৮৩৩ ম্যাচে ১৭০টি সেঞ্চুরি করা জ্যাক হবসের পর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের এলিয়াস হেন্ডারম্যান।

প্রাক্তন ডানহাতি ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকারের ২০০ টেস্টে ৫১টি সেঞ্চুরি এবং ৪৬৩টি ওয়ানডেতে ৪৯টি সেঞ্চুরি রয়েছে। টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক শচীন, টেস্টে তাঁর রান ১৫৯২১ রান, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। ওয়ানডেতে ১৮৪২৬ রান করেছেন তিনি। শচীন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে একটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন যেখানে তিনি ১০ রান করেছেন।

ছোটোবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা। এখন পেশা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সম্পর্কিত খবর