টক্কর হবে PSL, IPL টিমের! 10 বছর পর হতে চলেছে বড় টুর্নামেন্ট

ক্রিকেটের উন্মদনাকে আরও বাড়াতে চাইছে ভারত সহ আরও কয়েকটি দেশ। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে শুরু হয়েছে আলোচনা। কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি টি২০ লিগকে পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে বিশ্বের সেরা কিছু ক্রিকেট খেলা দেশ।

ক্রিকেট প্রেমীদের অনেকের এখনও হয়তো মনে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের কথা। দশ বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই ক্রিকেট লিগ। বিশ্বের সেরা ফ্রাঞ্চচাইজি দলগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। ক্রিকেট উৎসাহীদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই প্রতিযোগিতা। কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্ট।

   

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ পুনরায় শুরু করার ব্যপারে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কথাবার্তা পাকা হলে আবারও শুরু করা হতে পারে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চচাইজি প্রতিযোগিতা। এই টুর্নামেন্ট ফের শুরু করা হলে পাকিস্তান সুপার লিগ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোকে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পেতে পারে। ক্লাব ক্রিকেটেও ঢুকে পড়বে ভারত বনাম পাকিস্তাব।

 

২০১৪ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সে সময় ভারত থেকে তিনটি, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দু’টি করে এবং পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের একটি করে দল অংশ নিয়েছিল এই টুর্নামেন্টে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০০৯-১০ থেকে মোট ছয়বার খেলা হয়েছিল। তারপর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লিগ।

এই ছ’বারের টুর্নামেন্টের মধ্যে ভারতে চারবার এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় দু’বার টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুইবার করে শিরোপা জিতেছে। একবার করে শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি সিক্সার্স। ভারতে মেলবোর্ন ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার সিইও নিক কামিন্স বলেছেন, ‘আমার মনে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তখন সময় উপযোগী উদ্যোগ ছিল না। তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এত জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু ক্রিকেটের এই ফরম্যাট খুবই জনপ্রিয়।’

ছোটোবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা। এখন পেশা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সম্পর্কিত খবর