একই ভুল বারবার করছেন পন্থ, এবার নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা

একই ভুল বারবার করছেন ঋষভ পন্থ। যে ভুলের জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন, সেই একই ভুল করলেন আবারও। যার ফলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে তাঁর ওপর। এরকম চলতে থাকলে তরুণ উইকেটকিপার ব্যটারের বিরুদ্ধে বোর্ড আরও বড় ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১০৬ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের পর অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) পুরো দল বড় ধাক্কা খেয়েছে। বিশাখাপত্তনমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে স্লো ওভারের জন্য জরিমানা করা হয়েছে। চলতি আইপিএলের স্লো ওভার রেট সংক্রান্ত আচরণবিধির অধীনে এটি তাঁর তথা দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ। তাই অধিনায়ক হিসেবে পন্থকে ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক বোর্ড। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার্স সহ প্লেয়িং ইলেভেনের অন্য খেলোয়াড়দের প্রত্যেককে পৃথকভাবে ৬ লক্ষ টাকা বা ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

   

এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্লো ওভার রেটের জন্য পন্থকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরপর দুই ম্যাচে স্লো ওভার রেটে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আসন্ন ম্যাচগুলোতে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন পন্থ।

ক্রিকেট ম্যাচ সময়মতো শেষ করার জন্য ‘স্লো ওভার রেট’-এর নিয়ম ব্যবহার করা হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী, বোলিং দলকে ৯০ মিনিটে ২০ ওভার শেষ করতে হয়। এই ৯০ মিনিট স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট এবং ডিআরএস নেওয়ার সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ডিআরএস, টাইম আউট ছাড়া ৯০ মিনিটের মধ্যে ২০ ওভার শেষ না হলে বোলিং দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাকি খেলোয়াড়দেরও এই নিয়মে জরিমানার নিয়ম রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে দোষী অধিনায়ককে প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই অধিনায়ক যদি আবারও একই ভুল করেন করেন তাহলে তাঁকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দলের অন্য ক্রিকেটারদের ৬ লাখ টাকা বা ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করার কথা ক্রিকেটের এই নিয়মে বলা রয়েছে। তৃতীয়বার এই ভুলের জন্য অধিনায়ককে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা করতে পারে আয়োজক বোর্ড। বাকি খেলোয়াড়দের ১২ লাখ টাকা বা ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।

ছোটোবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা। এখন পেশা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সম্পর্কিত খবর