স্বামী, ৩ সন্তান নিয়ে থাকেন মাটির বাড়িতে! রেখা পাত্রের করুণ হাল কাঁদিয়ে দেবে

লোকসভা ভোটের আবহে তপ্ত দেশ। লোকসভা ভোট হবে আর সাধারণ মানুষ এই নিয়ে আলোচনা করবেন না তা হতেই পারে না। একদিকে ভোট যেমন একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনই কিছু ভোটের প্রার্থীকে নিয়ে এখন মানুষের আলোচনা তুঙ্গে রয়েছে। আজ তেমনই একজনকে নিয়ে আলোচনা হবে, যার নাম হল বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।

সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম বড় মুখ এই রেখা পাত্রকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রার্থী করে সকলকে চমকে দিয়েছে বিজেপি দল। ভোটে প্রার্থী হলেও এই রেখার জীবন একদমই সাদামাটা। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পর বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বড় দায়িত্ব দিয়েছেন এবং তিনি প্রতিটি দায়িত্ব পালন করবেন। রেখা পাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা তা পালন করব। বসিরহাট থেকে আমার মতো গরিব মহিলাকে টিকিট দিয়ে নিজের ভরসার পরিচয় দিয়েছেন। সন্দেশখালীতে যে মা-বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছেন, আমরা তাদের জন্য লড়াই করব। আমাদের প্রচেষ্টা তাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

   

এদিকে এই রেখা পাত্রর জীবন সম্পর্কে শুনলে আপনিও হয়তো চমকে যাবেন। না তাঁর কোনও পাকা বাড়ি নেই, স্বামী, ৩ সন্তানকে নিয়ে খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে বাস করেন তিনি। এক কথায় গ্রামের বধু যাকে বলে রেখা কিন্তু সেটাই। এদিকে রেখার বাড়িতে তাঁকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই। সংসার, রাজনীতি দুইই কিন্তু এখন তাঁকে একাধারে সামলাতে হচ্ছে। কিন্তু সবসময় আবার দুটো সমানতালে সামলানো হয়ে ওঠে না।

এই বিষয়ে কি রেখার শ্বশুরবাড়ি বিরক্ত? উত্তর হল না। বরং রেখার শাশুড়ি বলছেন, “ও প্রচার দেখুক। আমি তো এখানে আছিই।”সন্দেশখালির সন্দীপ পাত্রের সঙ্গে অল্প বয়সেই বিয়ে হয় রেখার। বাড়িতে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই বললেই চলে। তাও স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে সুখের সংসার রেখার। রেখার তিন মেয়ে, বড় মেয়ে সুষমা যার বয়স ১২ বছর, মেজো মেয়ে করবী, যার বয়স ৭ এবং ছোট মেয়ে কনক যার বয়স মাত্র ৩। এখন তাঁর বাড়িতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো, কারণ তিনি এখন জনপ্রতিনিধি যে। এদিকে গেরুয়া শিবিরের হয়ে বসিরহাট কেন্দ্রে তিনি সকলের মনে দাগ কাটতে পারেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর