শূন্যতেও পাশ! উচ্চ মাধ্যমিকে বড় বদল আনতে চলেছে সংসদ

এবার থেকে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল ঘটতে চলেছে। এবার শুরু হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি, ইতিমধ্যে পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি নিয়ে পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকারা একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যাইহোক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে থাকছে চারবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ। সবথেকে বড় কথা, কোনও পড়ুয়ার পরীক্ষা যদি প্রথমবার খারাপও হয় তাহলে সেটা পরের পরীক্ষায় শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এদিকে এহেন খবরে একদিকে যেমন পড়ুয়াদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে, ঠিক উল্টোদিকে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে একটি গা ছাড়া মনোভাব তৈরি হবে।

অনেক সময়েই দেখা যায়, দেরিতে ভর্তি হলে। পরিযায়ী পড়ুয়া হলে কিংবা একবছর ফেল করলে সমস্যায় পড়েন অনেক পড়ুয়া। কিন্তু এই সেমিস্টার পদ্ধতি শুরু হওয়ার ফলে আর চিন্তা থাকবে না পড়ুয়াদের। তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষক মহলের একাংশ। শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফে এ বিষয়ে সংসদ সভাপতিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

   

সম্প্রতি এই সেমিস্টার পদ্ধতি নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন শিক্ষা অনুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারে মাত্র ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই চলবে। অর্থাৎ ৩৫ ও ৪০-র মধ্যে একজন পড়ুয়াকে মাত্র ১০-১২ নম্বর পেতে হবে। এই নিয়মে একটি সেমেস্টারে শূন্য ও পরেরটিতে ৩০ পেয়ে পাশ করিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে না।’

অন্যদিকে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন ম‌ণ্ডলের মতে, ‘পড়াশোনার মান ঠিক রাখতে ও পড়ুয়াদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হলে প্রতি সেমেস্টারে ন্যূনতম নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গা ছাড়া ভাব আসতে পারে। ২টি সেমেস্টারে পড়াশোনাই করবে না তাঁরা।’ বলেছেন স্বপন মণ্ডল।’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর