পর্যটনের পর ভেঙে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থাও! ভারত বিদ্বেষের জেরে মলদ্বীপ ছাড়ছেন শিক্ষকরা

অসুবিধা যেন পিছুই ছাড়তে চাইছে না বিখ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের। এক সময় যখন বিশেষ করে ভারতীয় পর্যটকদের সমাগমে গমগম করতে এই মলদ্বীপ, এখন যেন মাছি তাড়ানো হচ্ছে একের পর এক আইল্যান্ডে। এক কথায় অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে সেখানকার পর্যটন ব্যবসা। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোই যেন কাল হল এই ছোট্ট দেশটির।

অন্যান্য দেশের পর্যটকরা এলেও সেভাবে এখনও অবধি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না মলদ্বীপ। তবে এরই মাঝে আবারও একবার শিরোনামে উঠে এল মলদ্বীপ দেশটি। জানেন কী হয়েছে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। চিনকে খুশি করতে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একপ্রকার নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। কিন্তু এভাবে ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়াই যেন কাল হয়েছে দেশের।

   

এদিকে মলদ্বীপের মানুষ এখন মুইজ্জুর ইন্ডিয়া আউট অভিযানের ধকল বহন করছে রীতিমতো। মুইজ্জু সরকারের এই ঘৃণামূলক আচরণের কারণে মলদ্বীপের অনেক শিক্ষক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে খবর। এদিকে এই ঘটনার কারণে সেখানকার স্কুলগুলো চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিষয়টি এতটাই খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে যে মলদ্বীপের সংসদে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যার পরে মুইজ্জু সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে।

মলদ্বীপে শিক্ষক সংকট

এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মলদ্বীপ দেশে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সেখানকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এমডিএম সাংসদ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কী করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সংসদে সরকার স্বীকারও করে নিয়েছে যে অনেক ভারতীয় শিক্ষক মালদ্বীপ ছেড়ে চলে গেছেন। তবে ভারত বিরোধী মনোভাবের কারণে এমনটা হয়েছে বলে সরকার অস্বীকার করেছে। এ প্রশ্নের জবাবে মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু এ বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে কোনো সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না।’

মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন শিক্ষক চলে গেলে কয়েক সপ্তাহ চ্যালেঞ্জ থাকে।  অনেক সময় মলদ্বীপে আসা বিদেশি শিক্ষকরা তাড়াতাড়ি ফিরে যান। এটা নতুন কিছু না।’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর