হাওড়ায় QR Code দিয়ে সেকেন্ডের মধ্যে টিকিট বুকিং! দারুণ সুবিধা চালু করল রেল

আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার দিন শেষ। কারণ এবার QR কোডের মাধ্যমেই আপনি নিজের গন্তব্য স্টেশনের টিকিট পেয়ে যাবেন। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কোথায় এই পরিষেবা শুরু হল? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ব্যবস্থা শুরু হল হাওড়া রেল স্টেশনে। এই হাওড়া রেল স্টেশন প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন এটি। প্রত্যেকদিন কয়েক লাখ মানুষ এই স্টেশনের ওপর দিতে যাতায়াত করেন। কেউ কাজের সন্ধানে তো কেউ ঘুরতে যাওয়ার জন্য অথবা কেউ কেউ যাতায়াত করছে রুজি রোজগারের তাগিদে। বর্তমানে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন রেলের রূপরেখাই বদলে যাচ্ছে।

   

যাত্রীদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই রেল স্টেশনে এমন কোনও জিনিস নেই যার ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে এবার এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল এই কিআর কোড ব্যবস্থা। আপনার কাছে যদি টাকা নাও থাকে তাহলেও আপনি এই QR Code ব্যবহার করে নিজের গন্তব্যের টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন খুবই সহজে। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের জন্য হাওড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলিতে কিউআর কোডের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাত্রীরাও টিকিট কাটছেন অনায়াসেই।

এই প্রসঙ্গে হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘এই নতুন কিউআর কোড স্ক্যানিং পেমেন্ট সিস্টেম হাওড়া ডিভিশনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটি শুধুমাত্র টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে তা নয় বরং সামগ্রিক যাত্রীদের উপকার হবে। যাত্রীরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাঁরা ইউপিআই ব্যবহার করে সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।’

এর আগে এই ব্যবস্থা মেট্রো রেলে দেখা যেত। কিন্তু এবার এই হাওড়ার মতো রেল স্টেশনেও মিলছে এই সুবিধা। রেলের বক্তব্য, অনেক যাত্রীই তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকেন। সেক্ষেত্রে টিকিটের লাইন লম্বা থাকায় সমস্যায় পড়ে যান অনেকে। আবার অনেকেই আছেন এই লাইন দেখে বিনা টিকিট কেটেই ট্রেনে উঠে পড়েন। তবে এই কিউআর কোড সিস্টেমটির জেরে সুরাহা হবে সকলের। যাত্রীদের কাছে অনেক নিরাপদ ব্যবস্থা। এতে সময় বাঁচবে। কিউআর কোড স্ক্যানিং পেমেন্ট সিস্টেম যাত্রীদের সবরকম ইউপিআই ব্যবহার করে টিকিট কাটতে পারবেন।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর