চিনকে (China) কোণঠাসা করতে এবার চরম পদক্ষেপ নিল একটি দেশ, যে কারণে চমকে গেল গোটা বিশ্ব। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন নিশ্চিন্তে কোণঠাসা করার সাহস রেখেছে এমন কোন দেশ রয়েছে? তাহলে বিস্তারিত জানতে পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) সরকার এক বছরের জন্য চিনা গুপ্তচর জাহাজগুলিকে তাদের বন্দরে ডকিং নিষিদ্ধ করেছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। এর ফলে ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) গুপ্তচরবৃত্তিকারী চিনের জাহাজগুলো আর শ্রীলঙ্কার বন্দরে থামতে পারবে না। শ্রীলঙ্কার এই পদক্ষেপকে ভারতের (India) জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচনা করছে আন্তর্জাতিক মহল।
ভারত সরকার বিভিন্ন আকারে ইঙ্গিতে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে ‘গবেষক’ নামে চিনের জাহাজগুলি বিশাল ভারত মহাসাগরে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এদিকে ভারতের সতর্কতার পর শ্রীলঙ্কা সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে পাহাড় সমান ঋণে ডুবে রয়েছে চিনের কাছে। আর এরই সুযোগ নিয়ে ড্রাগনের দেশ তার গুপ্তচর জাহাজগুলিকে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলিতে রাখছিল ।
তবে চিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্তকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বারবার শোনা যাচ্ছিল যে চিন বিভিন্নভাবে ভারতের ওপর নজির রাখছে। যারমধ্যে অন্যতম হল সমুদ্রের মাধ্যমে নজরদারি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত মহাসাগর ও মালাক্কা প্রণালীর অগভীর জলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে চিন। এর মধ্য দিয়ে ভারতকে নিজের অভ্যন্তরে চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করছে চিন।
শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরকে ঋণের ফাঁদে ফেলে দখল করে নেয় চীন। চিন যখন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কলম্বোতে আরেকটি গুপ্তচর জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল তখন শ্রীলঙ্কা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিনের এই জাহাজের নাম জিয়াং ইয়াং হং ৩।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘অনুরোধ’ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলী সাবরি বলেন, ‘জানুয়ারি মাস থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে চলেছে। এটি আমাদের নিজের স্বার্থে, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি। এর ফলে আমরা এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে সমান অংশীদার হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারব। ‘