চালু হবে তারকেশ্বরে থেকে বিষ্ণুপুর লাইন? বিশাল উদ্যোগ নিল রেল, আসছে সুখবর

যত সময় এগোচ্ছে ভারতীয় রেলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাত্রা আরও আরামদায়ক এবং সুবিধায় ভরা হচ্ছে। একদিকে যেমন দেশের সিংহভাগ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য রেল ব্যবস্থার ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেন ঠিক সেভাবেই অন্যদিকে রেলও মানুষের সুবিধার জন্য কাজ করেই চলেছে।

দিন দিন নতুন নতুন রেল রুট, স্টেশন, ট্রেন এনে রেলযাত্রীদের যাত্রাকে আরও যেন মাখনের মতো করে দেওয়ার কাজ করছে ভারতীয় রেল। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি রেল রুট নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটির চালু হওয়ার জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে আছেন বাংলার মানুষজন। যদিও একের পর এক জটের কারণে চালু হচ্ছে না রেল রুট। আজ কথা হচ্ছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প নিয়ে।

   

দীর্ঘদিন ধরে জমি জটে আজও আটকে রয়েছে এই রেল প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে এই রেল রুট চালু করা নিয়ে রাজ্যের কাছে একান্ত সহযোগিতা চেয়েছে পূর্ব রেল অবধি বলে খবর। ২০০১ সালে এই রেল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। তবে আজও জমি জটের কারণে থমকে রয়েছে রেলের কাজ। থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ। এদিকে যেনতেন প্রকারে জুমি জট কাটাতে উদ্যোগী পূর্ব রেল। মুখিয়ে রয়েছে রেল। ৯৫০ মিটার জমি নিয়ে শুরু হয়েছে যত সমস্যা। এদিকে রাজ্যের পাশাপাশি এবার স্থানীয় মানুষজনের কাছেও সাহায্যের হাত পাতল পূর্ব রলে বলে শোনা যাচ্ছে।

মূলত আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং পর্যটন ব্যবসাকে উৎসাহিত করতে পূর্ব রেল তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর নতুন রেলপথ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করছে রেল। এই উচ্চাভিলাষী উদ্যোগের লক্ষ্য বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির মন্দিরগুলির সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে তারকেশ্বরের শিব মন্দিরের সাথে সংযুক্ত করা। রেলপথটি যথাক্রমে জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রেল। যদিও দুর্গের মতো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি জট। এই স্বপ্নের রেল প্রকল্পটি শেষ হলে কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর-জয়পুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজে ট্রেন দাঁড়াবে।

এমনিতে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর সড়কপথে বাসে করে যেতে প্রায় ৫ ঘণ্টা লাগে, খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এই ট্রেন পরিসেবা শুরু হলে মাত্র ৩০ টাকার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে দাবি রেলের।

 

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর