মোহভঙ্গ? এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কবীর সুমন! বিস্ফোরক গায়ক

চলতি বছরের রামনবমী নিয়ে বড় ঘোষণা করে সকলকে চমকে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি অবধি জারি করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর।

অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৭ এপ্রিল বাংলায় সরকারি ছুটি থাকবে। এদিকে রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভোট গিমিক আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে আসরে নেমেছেন। তবে এবার সরকারকে কটাক্ষ করলেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন।

   

তিনি লেখেন, ‘আর পারলাম না। রামনবমীতেও আমার রাজ্যে ছুটি। মানছি না। রামনবমী = জাতীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন দিবস। ঐ দিন হবে আমার রাজ্যে ছুটির দিন। চমৎকার। অনেক দিন আগে আমাদের গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বোম্বের শিল্পীদের আমরা এত টাকা, সম্মান দিয়ে বাংলায় আনি কেন? কেন তাদের দিয়ে গান গাওয়াই? বোম্বের লোকেরা কি ওদের গণেশ পুজোয় বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে যায়? হিন্দিহিন্দুত্বওয়ালাদের তোয়াজ করতে রামনবমীর ছুটি? মানছি না আমি। আমি বাধ্য হচ্ছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতা করতে। এই সরকার বাংলা খেয়ালকে মান্যতা দিয়েছেন। তাঁদের কুর্ণিশ জানিয়েছি বারবার। কিন্তু এ রাজ্যের ভাষা বাংলা। সেই ভাষায় খেয়াল রচনা গাওয়া শেখানো হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই রাজ্য সরকার অস্বাভাবিক কিছু করেননি। তাঁদের করণীয় কাজের সীমা পেরিয়ে করেননি কিছু। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা সরকার যদি সত্যিই করে থাকেন তাহলে আমি সরকারের এই ঘোষণার এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বাংলায় খেয়াল রচনা ও গাওয়া শুরু করেছিলাম কোনও নেতা বা সরকারের মুখ চেয়ে নয়। বাংলা খেয়ালের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম একজন নাগরিক হিসেবে। অন্যায় আবদার করিনি। শারীরিক বিকলতা সত্ত্ব্বেও আমি বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করে যাবো যতদিন পারব। চেষ্টা করব একটা একাডেমি তৈরি করে যেতে যা সরকার বা কোনও দল বা নেতার মুখাপেক্ষী থাকবে না।’

নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এই বিভাগের বিজ্ঞপ্তি নং 6112-F(P2) তারিখ ৯/১১/২০২৩-এর ধারাবাহিকতায়, রাজ্যপাল নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১-এর ধারা ২৫ এর অধীনে ‘রামনবমী’ উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল ২০২৪ (বুধবার) সরকারি ছুটি হিসাবে ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।”

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর