ভারতের ব্রহ্মস, আমেরিকার টমহক… চীনের কাল মোতায়েন করছে দুই প্রতিবেশী দেশ

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়। চিনের ক্ষেত্রেও এই কথাটা প্রযোজ্য। কূটনৈতিক স্তরে একাধিকবার সমালোচিত হয়েছে চিনের কার্যকলাপ। চিনের কারণে ভারত যেমন বিরক্ত, তেমনই বিরক্ত একাধিক দেশ। আলাপ আলোচনা করে লাভ হয়নি। ফলত কমিউনিস্ট দেশটি যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই উত্তর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতিবেশী দুই দেশ। ভারতের সঙ্গে একাধিকবার টক্কর নেওয়া চেষ্টা করেছিল চিন। তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। ফলত ধীরে ধীরে নিজেদের আগ্রহ অন্য দিকে ঘোরাতে শুরু করেছে চিন সরকার। চিনের আগ্রাসী মেজাজে অসন্তুষ্ট জাপান, ফিলিপিন্সের মতো দেশ। ভারতকে স্থলবাহিনীর সাহায্যে কায়দা করার চেষ্টা করেছিল চিন। কাজ হয়নি। জাপান, ফিলিপিন্সের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা বদল।

জাপান ও ফিলিপিন্সের অনেকটা সমুদ্র বেষ্টিত। তাই জলপথে দুই দেশকে কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। জলযানের সাহায্যে চাপ বাড়াতে চেষ্টা করে চলেছে লাল দেশ। পাল্টা দেওয়ার কথা ভেবেছে জাপান ও ফিলিপিন্স। চিনকে ঠেকানো জন্য এই দুই দেশের পাশে থাকতে পারে ভারত।

   

২০২২ সালে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়েছিল। প্রতিরক্ষা খাতে ভারত পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ফিলিপিন্সকে। চুক্তির আওতায় ফিলিপিন্স পেতে চলে ভারতের অন্যতম মারাত্মক মিসাইল ব্রহ্মস। এবার এই ব্রহ্মস মিসাইল দিয়েই চিনকে ধাক্কা দিতে পারে ফিলিপিন্স। চিনের নৌবহরের বদলে ভারতে তৈরি হওয়া ব্রহ্মসই হাতিয়ার ফিলিপিন্সের।

জাপান এমনিতেই প্রযুক্তির ব্যাপারে এগিয়ে থাকা দেশ। তারাও তলে তলে তৈরি করে রাখছে চিনকে কুপোকাত করার প্ল্যান। জাপান প্রাথমিকভাবে ২০২৬ এবং ২০২৭ সালের মধ্যে টমাহক ব্লক ভি এর সর্বশেষ সংস্করণের ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার এবং ডেস্ট্রয়ারগুলিকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের কারণে জাপান ২০২৫ সালের মধ্যে নিজেদের সামরিক ক্ষেত্র আরও গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তোরজোড় করা শুরু করে দিয়েছে।

ছোটোবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা। এখন পেশা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সম্পর্কিত খবর