অক্সিজেন ছাড়াই যাবে মহাকাশে, নিরাপদেই ফিরবে পৃথিবীতে! ISRO-র কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন একের পর এক সাফল্যের শিখরে উঠছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সাধারণ মানুষের কল্যাণে এবং সৌরজগতের রহস্যভেদ করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে চন্দ্রযান ৩, অন্যদিকে সূর্যের রহস্যভেদ করতে আদিত্য এল ১ মিশন লঞ্চ করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যদিও এবার ইসরোর মুকুটে আরো এক নতুন পালক জুড়তে চলেছে।

বলা ভালো নতুন পালক জুড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কারণ ইসরোর পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল প্রযুক্তি সফল হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গের অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে ইসরোর পুনঃব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ যান ‘পুষ্পক’ সফলভাবে রানওয়েতে অবতরণ করে। এটি আবার রামায়ণের রথ পুষ্পকের নাম অনুসারে দেওয়া হয়েছে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই উৎক্ষেপণ যানের কাজ কী?

   

এই প্রসঙ্গে ইসরো জানাচ্ছে, মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে এই যান। এটি একদম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পুষ্পক মহাকাশযান উৎক্ষেপণযান তৈরির উদ্দেশ্য মূলত দু’টি, এক মহাকাশযান উৎক্ষেপণের খরচ কমিয়ে আনা এবং অন্যদিকে মহাকাশ অভিযানকে আরও সার্বিক করে তোলা।

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা আরএলভি আকারে দেশীয় প্রযুক্তি বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করছে বলে মনে হচ্ছে। পুষ্পক মিশনটি ইসরোর সম্পূর্ণরূপে পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল বিকাশের বৃহত্তর কৌশলের অংশ যা মহাকাশ অ্যাক্সেসের বর্তমান ব্যয় ৮০% হ্রাস করতে পারে। বর্তমানে, মহাকাশে এক কিলোগ্রাম পেলোড চালু করতে ব্যয় ১২,০০০ ডলার থেকে ১৫,০০০ ডলারের মধ্যে হতে পারে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর