বাতিল হতে পারে প্রার্থীপদ, গুরুতর অভিযোগ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, হৈচৈ গোটা দেশে

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা, বিজেপিতে যোগ দেওয়া সেইসঙ্গে তমলুক লোকসভা আসন থেকে ভোটে দাঁড়ানো….সব মিলিয়ে তিনি এখন শিরোনামে। তবে সম্প্রতি তিনি এমন একটি মন্তব্য করেছেন যাকে ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

আর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যকে নিয়ে আসরে নেমেছে তৃণমূল থেকে শুরু করে কংগ্রেস দল। এমনকি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ অবধি বাতিল করে দেওয়ার দাবি তুলেছে ‘হাত’ শিবির। এখন আপনিও নিশ্চিয়ই ভাবছেন যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী এমন মন্তব্যকে করেছেন যাকে ঘিরে বিতর্কের দানা বেঁধেছে? তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

   

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘গান্ধী ও গডসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারেন না’ বলে মন্তব্য করায় তাঁর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। একটি সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি মহাত্মা গান্ধী ও নাথুরাম গডসের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে পারেন না।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জানান, ‘আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত একজন হওয়ায় গল্পের অন্য দিকটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আমাকে অবশ্যই নাথুরাম গডসের লেখাগুলি পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে কী কারণে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। ততদিন পর্যন্ত আমি গান্ধী ও গডসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারি না।’

এদিকে প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এটা দুঃখের চেয়েও খারাপ যে কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, যিনি প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও আশীর্বাদপুষ্ট বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করেছিলেন, এখন বলছেন যে তিনি গান্ধী এবং গডসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারবেন না।”

কংগ্রেস নেতা আরো বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তাঁর প্রার্থী পদ ছিনিয়ে নেওয়া করা উচিত। জাতির পিতাকে রক্ষায় জাতির পিতা কী করবেন?’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর