চিনের রোষের মুখে পাকিস্তান! এবার কী হবে শাহবাজের? থরহরিকম্প পড়শি দেশে

বেঁকে বসেছে বন্ধু। যে চিনের কারণে এতো দিন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যেত পাকিস্তান, এবার সেই চিনের কারণে ঘাম জমেছে পাকিস্তান সরকারে থাকা কর্তাদের কপালে। নিজেদের ভুলেই বন্ধুকে চটিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

সম্প্রতি পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার খবর ফের উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়, তারাও শান্তির পক্ষে। যদিও পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা এই ধরণের দাবি অনেকটা ভুতের মুখে রাম নামের মতো শোনায়। এতো দিন কূটনৈতিক ও নিজেদের স্বার্থের কারণে একে ওপরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতো চিন ও পাকিস্তান।

   

আসলে শাক দিয়ে বেশি দিন মাছ ঢেকে রাখা যায় না। কিছু সময় পর মাছের আঁশটে গন্ধ ঠিকই টের পাওয়া যায়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। চিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্কে রেখে চলেছে অনেক দিন। অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে আসল রূপ। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর করা বিস্ফোরণে একাধিক চিনার মৃত্যু।

মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখোয়ার দাসুতে চিনা নাগরিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনায় পাঁচ চীনা নাগরিক এবং এক পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। এই চিনা নাগরিকরা চিনের নির্মিত দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সেখানে কাজ করছিলেন। ইসলামাবাদ থেকে ফেরার সময় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি চিনা নাগরিকদের কনভয়ে গিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে বিস্ফোরণ। আগে ৮ জন সন্ত্রাসবাদী গদর বন্দরে ঢুকে পড়েছিল। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মজিদ ব্রিগেড গদর বন্দরে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সমগ্র ঘটনায় চিন সরকার মোটেও খুশি নয়।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও আশঙ্কা, এই হামলার প্রভাব চিন-পাকিস্তান সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেই কারণেই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসলামাবাদের চিনা দূতাবাসে পৌঁছে সমবেদনা জানানো হয়েছে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে। শাহবাজ শরিফ চিনকে খুশি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ছোটোবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা। এখন পেশা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সম্পর্কিত খবর