করোনার ভ্যাকসিন অতীত, এবার টিবির টিকা আবিষ্কার ভারতের! শুরু হচ্ছে ট্রায়াল

কোভিড মহামারীকালে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম খুব শোনা গিয়েছিল। আর সেই দুটি হল সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক। কোভিড মহামারির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে লাখ লাখ ভ্যাকসিন তৈরি করে চমকে দিয়েছিল দুই কোম্পানি। ২০২২ সালে ভারত বায়োটেকের দ্বারা ভারতের প্রথম ইন্ট্রানাসাল কোভিড ভ্যাকসিন ১৮ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রাথমিক টিকা দেওয়ার জন্য DCGI-এর অনুমোদন পেয়েছিল৷

তবে ফের একবার শিরোনামে উঠে এল Bharat Biotech। আগেই জানা গিয়েছিল, ভারতে টিবি রোগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সংস্থা। সংক্রমণ রুখতে প্রথম টিকা আনতে চায় ভারত বায়োটেক। এবার জানা যাচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্কদের উপর যক্ষ্মা ভ্যাকসিন এমটিবিভ্যাকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়েছে। এটি হবে স্প্যানিশ বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োফ্যাব্রি কর্তৃক মানব উৎস থেকে প্রাপ্ত যক্ষ্মার বিরুদ্ধে প্রথম ভ্যাকসিন। রবিবার ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এটির নাম হল Tuberculosis vaccine Mtbvac।

টিবি নির্মূল হবে ভারত

   

এমনিতে ভারত টিবি বা যক্ষ্মা রোগের অন্যতম বড় আঁতুড়ঘর। এহেন অবস্থায় বড় পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে ভারত বায়োটেক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে Mtbvac দুটি উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমটি নবজাতকের জন্য তৈরি হওয়া বিসিজি (ব্যাসিলাস ক্যালমেট গুয়েরিন)-এর থেকে এর প্রভাব বেশি পড়বে এবং দীর্ঘস্থায়ী ভ্যাকসিন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য হবে, যাদের জন্য বর্তমানে কোনও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়নি।

বায়োফ্যাব্রির সহযোগিতায় এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত বায়োটেক। এমটিবিভিএসির সুরক্ষা এবং ইমিউনোজেনিসিটি মূল্যায়নের জন্য ট্রায়ালগুলি একটি উল্লেখযোগ্য সুরক্ষা, ইমিউনোজেনিসিটি এবং কার্যকারিতা পরীক্ষার সাথে শুরু হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বায়োফ্যাব্রির সিইও এস্তেবান রডরিগেজ বলেন, ‘যক্ষ্মা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান সংক্রামক কারণ, বিশেষ করে ভারতে।’ যে কারণে এবার এই মারণ রোগ রুখতে Mtbvac আনছে বায়োটেক।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর