‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ অতীত, এবার ভোটের আবহে এল ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’! জানুন বিস্তারিত

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক দলগুলির লড়াইও যেন আরও তীব্র হচ্ছে। তবে ভোটের আবহে এবার এক নতুন দৃশ্যের সাক্ষী থাকল সমগ্র বাংলা। ইতিমধ্যে রাজ্যের মহিলাদের জন্য এক জনদরদী প্রকল্প এনে বড় চমক দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা প্রতি মাসে টাকা পাচ্ছেন। তবে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এল সরস্বতী ভাণ্ডার। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম সত্যি। এবার এল সরস্বতী ভাণ্ডার।

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই সরস্বতী ভাণ্ডার কী? কাদের জন্যই বা আনা হল? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’ কোনও সরকারি প্রকল্প নয়৷ আসলে এটি হল একটি প্রতিবাদ-আন্দোলন৷ কীসের প্রতিবাদ আন্দোলন?

   

ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু একটা যেটা সবসময় থেকে যায় সেটা হল কুকথা বলার ধারাবাহিকতা। নির্বাচন হোক বা না হোক, শাসক-বিরোধীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে। আর এই নিয়েই এবার প্রতিবাদ জানাতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ালেন আন্দোলনকারীরা৷ এই আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী-লেখক ঝর্ণা ভট্টাচার্য৷ তাঁর মতে, ‘এই ভাষা-সন্ত্রাস চলতে থাকলে কিন্তু আমাদের এই যুগ সন্ত্রাসের যুগ বলেই পরিচিত হবে’।

প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন অনেকে। এই প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, টাকা নয় পাবেন রবি ঠাকুরের শুদ্ধ ভাষা। সরস্বতী ভাণ্ডার, মনের মাঝে বাগদেবী ভাষায় কেন বেহিসেবী। এছাড়া লেখা ছিল, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর সরস্বতী ভাণ্ডার। নির্বাচনী প্রচারে অশালীন ভাষা প্রয়োগ বন্ধ করুন।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর